ফুটবল আর মাছে গোয়ার সঙ্গে বাংলাকে একাত্ম করলেন মমতা
গোয়া থেকে ভারতে জয়যাত্রা শুরু- শুক্রবার, দিনভর ঠাসা কর্মসূচি এবং বিভিন্ন মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর সন্ধেয় ডোনাপাওলায় ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার বুদ্ধিজীবীদের সভায় বললেন তৃণমূল (Tmc) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। তিনি বলেন, ২০২৪-কে লক্ষ্য রেখে গোটা দেশ জুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। গোয়া থেকে সেই যাত্রা শুরু হবে। “বাইরে থেকে এসে গোয়ায় ক্ষমতা দখল আমাদের টার্গেট নয়। গোয়ার নিজস্ব লোকারই সব করবে। আমরা বিজেপির (Bjp) কাছে মাথা নোয়াব না।” তৃণমূল সুপ্রিমোর মতে, গোয়ায় সব আছে, নেতা নেই। গোয়াকে পথ দেখানোর লোক নেই। তৃণমূল এই কাজটাই করবে।
গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মমতা বলেন, “বিজেপি জাভেদ আখতারকেও ছাড়ে না, তিনি বিজেপির লোক নন বলে।” গোয়ার কালচালার হেরিটেজ যথেষ্ট ভালো। এমনকী গোয়ার সঙ্গীত দুর্দান্ত। সকলের নিজের পরিচয় আছে। মমতা বলেন, “বিজেপির জমানায় বলতে হবে আমি হিন্দু। এসব আগে ছিল না। গোয়ায় বিজোপি মেন্টাল পলিউশন করছে।”
তৃণমূল নেতা জানান, “কয়েকটা দল আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। ওরা ওদের কথা বলেছেন। আমরা আামাদেরটা বলেছি।”
বাংলার উদাহরণ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) অনেক রাজ্য সরকারি প্রকল্প আছে। যদি বাংলা পারে, গোয়া কেন পারবে না! এর জন্য ভাবতে হবে। “আমি কাজ ফেলে রাখি না। আমরা কৃষকদের পক্ষে। আমি কৃষকদের স্বার্থে ২৬ দিন অনশন করেছি। আমি কথা দিলে কথা রাখি। বাংলায় ৯৯ শতাংশ বিদ্বজ্জন তৃণমূলের সঙ্গে। গোয়াতে আপনারা অনেক দলকে দেখেছেন। আমাদের ওপর ভরসা রাখুন। আমরা আপনাদের অধিকারের জন্য লড়ব।”
ফুটবল-ফিশ-ফোক এই তিনের দারুণ মিল বাংলার সঙ্গে গোয়ার। পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে এক সুতোয় বেঁধে মন্তব্য করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, “গোয়াকে জিততে দেখতে চাই। আমাকে বহিরাগত ভাববেন না। আমি এখানে বারবার আসব। এখানে একটা ঘর চাই। হোটেলে এসে বারবার থাকাটা খরচের। কুঁড়ে ঘর হলেই চলবে। কলকাতায় আমি কুঁড়ে ঘরেই থাকি।”
মমতা বলেন, “দলের ম্যনিফেস্টো নিয়ে কিছু বলব না। মাইনসের প্রবলেম আছে। এখানে খনিতে লুট চলছে জানি। মহিলাদের সমস্যা আছে।
এই আলাপচারিতায় সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পাশেই ছিল উপস্থিত ছিলেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ। তিনি বলেন, “মমতা দিদি ছাড়া আমি লিয়েন্ডার হতাম না। গোয়াতে আমি আমার শিকড়ে ফিরে এসেছি। মমতা দিদি সত্যি চাম্পিয়ান। গোয়াতে আমি গোটা ভারত দেখি। ৩০ বছর ধরে টেনিস আমার হাতিয়ার ছিল। এখন সেটা পালটে গেল। আমি আপনাদের জন্য গোয়ার জন্য কাজ করব।” এই সভায় ছাত্র-যুবদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন।