হুমকি চিঠি কাণ্ডে রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তন সহপাঠীদের পাশে পেলেন আলাপন
প্রাণনাশের হুমকি চিঠি দেওয়ার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Alapan Banerjee) পাশে দাঁড়ালেন তাঁর স্কুল নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের সহপাঠীরা। শনিবার এই ঘটনার নিন্দা করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে আলাপনের প্রাক্তন সহপাঠীদের পক্ষ থেকে। শুরু হয়েছে সই সংগ্রহ অভিযানও।
এদিন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমাদের প্রিয় সহপাঠী আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন। তাঁর জীবন ও স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এই ঘৃণ্য কাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদও করছি। ব্যক্তিগতভাবে এবং সামাজিকভাবে বর্তমানে একটা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আমরা স্কুলের বন্ধুরা তাঁর সর্বদা পাশে রয়েছি। অতিমারীর ভয়াবহতায় তিনি বিপর্যস্ত। গত কয়েক মাসে তাঁর ভাই (তিনিও নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী), ভাগ্নে এবং মা’কে হারিয়েছেন। এই দুঃসময়ে তাঁর পাশে দাঁড়ানোটাই কর্তব্য। সবার কাছে আমাদের আবেদন, এই কঠিন সময় পার হতে আলাপনের পাশে দাঁড়ান। তিনি অসম্ভব মেধাবী, কঠোর পরিশ্রমী এবং সর্বকালের অনতম উজ্জ্বল ছাত্র। সমাজের প্রতি তাঁর অবদান আমাদের চিরদিনই সমৃদ্ধ করে এসেছে।”
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে প্রাক্তন সহপাঠীদের দাঁড়ানো ও সই সংগ্রহের এহেন বিরল উদ্যোগে সাড়া পরেছে সর্বত্র। এদিন বিকেল অবধি এই সাক্ষরকারীদের মধ্যে স্কুলের বহু কৃতী ছাত্রর পাশাপাশি সাধারণ ছাত্ররাও রয়েছেন। বস্তু আলাপনের প্রাণহানির শঙ্কা একসূত্রে বেঁধেছে তাঁর প্রাক্তন সহপাঠীদের।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার একটি হুমকি-চিঠি পান আলাপনের স্ত্রী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে লেখা ছিল, “আপনার স্বামীকে খুন করা হবে। কেউ তাঁকে বাঁচাতে পারবে না।” নিচে প্রেরক হিসেবে নাম ছিল রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের দু’জনের। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, হুমকি-চিঠিটি পাঠানো হয় দক্ষিণ কলকাতার শরৎ বসু রোড ডাকঘর থেকে স্পিড পোস্টের মাধ্যমে। ঘটনার গুরুত্বের কারণে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের উপর।