ফের কৈলাসের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ভাষায় তোপ দাগলেন তথাগত
দীর্ঘদিন তিনি টুইট–ফেসবুক পোস্ট করে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে ছিলেন। এবার সক্রিয় হয়ে উঠলেন তিনি। রবিবার ঝটিকা সফরে এলেন ৬ নম্বর মুরলিধর সেন লেনে। সেখানে এসেই বৈঠকে বসে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে। যেভাবে দল ভাঙতে শুরু করেছে তা ঠেকানোর পথও বলে দিলেন তিনি। আর এটাই আশু করণীয় কাজ বলে তিনি জানিয়েছেন সুকান্তকে। বৈঠক শেষে তথাগত রায় বলেন, ‘রাজ্যে বিজেপি সংগঠন নিয়ে একাধিক পরামর্শ সুকান্তকে দিলাম। নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
তবে আজ ফের তথাগত রায় নজিরবিহীন ভাষায় তোপ দাগেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিরুদ্ধে। একুশের নির্বাচনের পরে তিনি কৈলাস–সহ নেতাদের দেখা যাচ্ছে না বলে তোপ দেগেছিলেন। তাঁর কোড ছিল— কেডিএসএ। এমনকী দলের এই বিপর্যয়ের জন্য এঁরাই দায়ী বলে বারবার আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। বিপদে পড়া নেতা–কর্মীদের পাশে কেন কৈলাস নেই? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তথাগত।
এবার প্রাক্তন মেঘালয়ের রাজ্যপাল বলেন, ‘ওকে আমি এখনও ঘৃণা করি। আমার ঘৃণা কমবে না। সংবাদমাধ্যম ভুল খবর করেছে কৈলাস বিজয়বর্গীয় রাজ্য পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ফিরছে বলে। কৈলাস বিজয়বর্গীয় এই রাজ্যে কোনও দায়িত্বেই আর আসছে না।’ আসলে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে যেভাবে নেতাদের বিজেপিতে নেওয়া হয়েছিল তা একেবারেই তাঁর পছন্দ ছিল না।
আজ, ত্রিপুরায় অভিষেকের সভায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরওয়াপসি হয়েছে। তিনি ফের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে গিয়েছেন। বিজেপিতে এসেছিলেন। এই বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশ যে কেউ যেখানে খুশি যেতে পারে। পিসি গোয়া যাচ্ছেন তো ভাইপো ত্রিপুরা। আবার কেউ উত্তরপ্রদেশ যাবেন। যেতেই পারেন। তবে অভিষেকের জন্য ত্রিপুরা কাঁপছে না, কারও ম্যালেরিয়ার জন্য কাঁপতে পারে।’ এই মন্তব্য নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।