করোনা সংক্রমণে স্বস্তি বাংলায়, বিমানযাত্রায় নতুন নির্দেশিকা
দুর্গাপুজোর পর রাজ্যের কোভিড গ্রাফ রীতিমতো চিন্তা বাড়িয়েছিল আমজনতার। গত ২৪ ঘণ্টার পরিসংখ্যানে খানিকটা স্বস্তি। নতুন করে সংক্রিত হয়েছেন ৭২৫ জন। যা আগের দিনের তুলনায় অনেকটাই কম। একইসঙ্গে কমেছে মৃত্যুও। একদিনে করোনার বলি রাজ্যের মাত্র ৮ জন। তবে পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না চলে যায় সেদিকে নজর রাজ্যের। এদিকে বিমান বন্দরের তরফে নির্দেশিকা জারি হয়েছে, কলকাতা থেকে অন্যত্র সফর কিংবা অন্য জায়গা থেকে কলকাতার আসার ক্ষেত্রে যাত্রীদের ডবল ভ্যাকশিনেশনের সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক। অথবা দেখাতে হবে ৭২ ঘণ্টা আগের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট। পুনে, নাগপুর ও আহমেদাবাদ-কলকাতা বিমান চলাচল করবে সপ্তাহে তিনদিন।
স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা (Corona Virus) আক্রান্তদের মধ্যে ২০৫ জন কলকাতার (Kolkata)। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে এদিন ফের প্রথমে ওই জেলা। তবে আগের দিনের তুলনায় একধাক্কায় অনেকটাই কমেছে সংক্রমণ। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas)। একদিনে আক্রান্ত সেখানকার ৯৪ জন। আগের দিন সংক্রমণ ছিল এর তুলনায় অনেকটাই বেশি।
দৈনিক সংক্রমণে ফের তৃতীয় স্থানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। একদিনে ওই জেলায় নতুন করে সংক্রমিত ৭৯ জন। চতুর্থ স্থানে হাওড়া। সেখানে একদিনে সংক্রমিত ৭৪ জন। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের কম বেশি সব জেলা থেকেই নতুন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। একদিনে পজিটিভিটি রেট ২. ৪৯ শতাংশ। ফলে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫,৯৩, ৬৩৩।
একদিনে করোনা প্রাণ কেড়েছে রাজ্যের ৮ জনের। দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে প্রথম স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা ও হুগলি। একদিনে করোনার বলি সেখানকার ২ জন করে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯, ১৪৯ জন। একদিনে করোনাকে পরাস্ত করে ঘরে ফিরেছেন ৮৬৭ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৫,৬৬, ৩৩৮। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৮.২৯ শতাংশ। বর্তমানে রাজ্যে সেফ হোমের সংখ্যা ২০০।