রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

আগামী মরশুমে ৫৫ লক্ষ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রাজ্যের

November 1, 2021 | 2 min read

আগামী খরিফ মরশুমে কৃষকদের থেকে ৫৫ লক্ষ টন ধান কিনতে চাইছে রাজ্য সরকার। এটাই এখনও পর্যন্ত রাজ্যে সব থেকে বেশি পরিমাণ ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা। গত কয়েক বছর ধরে এই পরিমাণ ছিল ৫২ লক্ষ টন। রাজ্য সরকার নিজস্ব উদ্যোগে ৪৯ লক্ষ টন কিনবে। বাকিটা কেন্দ্রীয় সংস্থা এফসিআই-কে কিনতে বলা হয়েছে। এফসিআই-র ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করা হয়নি। গত বছরের মতো ৬ লক্ষ টন-ই রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরে এফসিআই-কে ৬ লক্ষ টন ধান কিনতে বলা হলেও, তার থেকে অনেক কম কেনে এই সংস্থা। কেন্দ্রীয় সংস্থার কেনার পরিমাণ ১ লক্ষ টন-ও ছাড়ায় না। গত খরিফ মরশুমে রাজ্য সরকারের ধান কেনার লক্ষ্য‌মাত্রা ছিল ৪৬ লক্ষ টন। সেখানে কেনা হয়েছিল প্রায় সাড়ে ৪৫ লক্ষ টন।

আগামী পয়লা নভেম্বর নতুন খরিফ মরশুম শুরু। চলবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। গত বছরের তুলনায় ধান কেনার সরকারি ঘোষিত দাম কিছুটা বেড়েছে। গত বছর সাধারণ দাম কুইন্টল প্রতি ১৮৬৫ টাকা ছিল। এবার তা হয়েছে ১৯৪০ টাকা। খাদ্যদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সরকারি স্থায়ী ক্রয় কেন্দ্রে এসে ধান বিক্রি করলে কৃষকরা প্রতি কুইন্টালে অতিরিক্ত ২০ টাকা করে পাবেন। গোটা মরশুমে একজন কৃষক সরকারের কাছে সর্বোচ্চ ৪৫ কুইন্টাল ধান বিক্রি করতে পারবেন। এবার মোট ৩৫৪টি স্থায়ী ক্রয় কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। জেলাভিত্তিক ক্রয় কেন্দ্রগুলির তালিকা খাদ্যদপ্তর প্রকাশ করেছে। স্থায়ী ক্রয় কেন্দ্র ছাড়াও গ্রামীণ কৃষি সমবায় সংস্থাগুলির মাধ্যমে অস্থায়ী শিবির খুলে সরকারি দামে ধান কেনা হয়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের গ্রামে পাঠিয়েও ধান কেনা হয়।

স্থায়ী কেন্দ্রগুলিতে মূলত খাদ্যদপ্তর ধান কেনে। কৃষি সমবায় সংস্থা ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে নামিয়ে ধান কেনে কয়েকটি সরকারি সংস্থা। এই প্রক্রিয়ায় এবার ইসিএসসি, বেনফেড, কনফেড, নাফেড, এনসিসিএফ, পিবিএএমসিএল প্রভৃতি সংস্থাকে যুক্ত করা হয়েছে। জেলা ও মাসভিত্তিক ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সাধারণত নভেম্বরে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা কম রাখা হয়। কারণ তখন নতুন ধান বিশেষ ওঠে না। ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বেশি পরিমাণে ধান কেনা হয়।

মোট যে ধান কেনা হবে, তার মধ্যে ৩১ লক্ষ টন সেন্ট্রাল পুলের জন্য। ওই ধান থেকে উৎপাদিত চাল জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় থাকা রেশন গ্রাহকদের সরবরাহ করা হবে। স্টেট পুলের জন্য ১৮ লক্ষ টন ধান কেনা হবে। ওই ধান থেকে উৎপাদিত চাল রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের গ্রাহকদের জন্য সরবরাহ করা হবে। এফসিআই যে ধান কিনবে, তা থেকে উৎপাদিত চাল সংস্থা ভিন রাজ্যে সরবরাহ করতে পারবে।

স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা ইতিমধ্যে খাদ্যদপ্তর নিয়েছে। প্রতি জেলায় নজরদারির একজন করে পদস্থ আধিকারিককে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্ত নন, এমন কৃষককে ধান বিক্রির জন্য নাম নথিভুক্ত করার সময় তাঁর জমি সংক্রান্ত তথ্য নির্দিষ্ট ফর্মে জমা দিতে হবে। আর কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্ত কৃষকদের জমির তথ্য সরকারের কাছে থাকেই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #paddy

আরো দেখুন