রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বাস ভাড়া বৃদ্ধি রুখতে সিএনজিতে যাওয়ার প্রস্তাব রাজ্যের

November 1, 2021 | 2 min read

ডিজেলের আগুন-দামের ছেঁকা থেকে সাধারণ যাত্রী, বাস মালিক এবং পরিবেশকে বাঁচাতে নয়া দাওয়াই দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। ডিজেল ইঞ্জিন বদলে পুরনো সব বাসের ডিজেল ইঞ্জিন বদলে দেওয়া হবে কমপ্রেস্‌ড ন্যাচারাল গ্যাসে (সিএনজি)। আর সেই ইঞ্জিন রূপান্তরের খরচের একটা বড় অংশই বহন করবে রাজ্য সরকার। বাকিটুকু দিতে হবে বাস মালিকদের। সে ক্ষেত্রেও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে বাস মালিকদের সহজে ঋণ নেওয়ায় সাহায্য করবে নবান্ন। অর্থাৎ, বিকল্প ব্যবস্থায় বেসরকারি বাস মালিকরা গেলেই প্যাকেজ মিলবে রাজ্যের।

বেসরকারি বাস মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানাচ্ছেন, যেভাবে ডিজেলের দাম বাড়ছে, তাতে পুরনো ভাড়া রেখে দেওয়া অসম্ভব। আর এখন তো ডিজেল ১০০ টাকা প্রতি লিটার ছাড়িয়ে গিয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের স্বার্থে বাসভাড়া এখনই বাড়াতে রাজি নয় রাজ্য। তাই এই বিকল্প পথ। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সিএনজি ইঞ্জিনের বাসে খরচ প্রায় ৪৯ শতাংশ কমবে। কারণ, এক কেজি সিএনজির দাম (রবিবার কলকাতায়) ৬৭ টাকা। এই ইঞ্জিনের মাইলেজও বেশি। অর্থাৎ ১ লিটার ডিজেলে ১০ কিলোমিটার চললে, ১ কেজি সিএনজিতে ১২.৩ কিমি দূরত্ব পার করা যাবে। ফলে একদিকে যেমন সুরাহা হবে মানুষের, তেমনই কমবে দূষণ। শুধু তাই নয়, সিএনজি ইঞ্জিন প্যাকেজের পাশাপাশি আগামী বছর জুন-জুলাই মাসে কলকাতায় আসছে ১ হাজার ব্যাটারি চালিত বাস। যার একটা বড় অংশ বেসরকারি মালিকানায় চালানোর অনুমতি দেবে রাজ্য। ই-বাস নামানোয় বাস মালিকদের উৎসাহ দিতে আকর্ষণীয় প্রস্তাবও দেবে রাজ্য।

নবান্ন সূত্রে খবর, ইঞ্জিন বদলের খরচের কত অংশ রাজ্য বহন করতে পারবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। এই সংক্রান্ত খসড়া অর্থদপ্তরে জমা পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে সুনির্দিষ্ট আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা হবে। পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগ, ‘মোদী সরকারের আসল লক্ষ্য রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণ। আর তাই ডিজেলের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি চালিয়ে যাচ্ছে ওরা। যার ফল ভুগছে মানুষ।’ তাঁর কথায়, ‘যাত্রীদের ঘাড়ে বাড়তি ভাড়ার কোপ না বসিয়ে আগামী এক বছরের মধ্যে রাজ্যের সব সরকারি-বেসরকারি বাসের ইঞ্জিন সিএনজিতে বদলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইঞ্জিন বদলানোর খরচের কিছুটা রাজ্য বহন করতে পারে, যদিও তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’

সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগমের ৭২টি সরকারি বাসের ইঞ্জিন সিএনজিতে রূপান্তরিত করার বরাত দেওয়া হয়েছে। আগামী বুধবার পরিবহণমন্ত্রী বেসরকারি বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন। সেখানেই বাংলার গণপরিবহণে এই নয়া পট পরিবর্তনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে। সিএনজির নিরবচ্ছিন্ন জোগান নিশ্চিত করতে দুর্গাপুর, রাজারহাট, কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় ইতিমধ্যেই এই পরিবেশবান্ধব জ্বালানির স্টেশন তৈরি হয়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে রাজ্যজুড়ে সমস্ত সরকারি ডিপোয় সিএনজি লাইন পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যেই বেঙ্গল গ্যাস কর্পোরেশনের সঙ্গে চুক্তি করছে পরিবহণ দপ্তর।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Diesel Price Hike, #Bus Fare Hike

আরো দেখুন