রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

দীপাবলির আগে বাড়ছে মোমবাতির বিক্রি, হাসি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মুখে

November 1, 2021 | 2 min read

আর কয়েকদিন পরেই কালীপুজো। প্রতিটি গৃহস্থের বাড়ি সেজে উঠবে মোমবাতির আলোয়। একটু অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য এখন দম ফেলার সময় নেই বাগনান মহিলা বিকাশ সমিতির সদস্য জোৎস্না, প্রত্যূষা, কাকলি, মহামায়াদের। সারা বছর সাবান, ফিনাইল, ধূপ আর মোমবাতি তৈরি করলেও, এই সময়েই মোমবাতির চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। এজন্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাতে হাত মিলিয়ে মোমবাতি তৈরি করছেন সমিতির অন্তর্গত চেতনা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। তাঁদের হাতে তৈরি এইসব মোমবাতি সমিতির সদস্যদের মারফত পৌঁছে যাচ্ছে বাগনান ১ নং ব্লকের ৮২টি গ্রামে। গত বছর করোনা সংক্রমণের কারণে সেভাবে মোমবাতি বিক্রি না হলেও এবারে সংক্রমণ কিছুটা কমায় মোমবাতির বিক্রি কিছুটা হলেও ভালো। এতে স্বস্তি ফিরেছে চেতনা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের পরিবারে। ১৯৯৭ সালে পথ চলা শুরু হয় বাগনান ১ নং ব্লকের বাঙালপুর মহিলা বিকাশ সমিতির।

বাঙালপুরের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা মাধুরী ঘোষের হাত ধরে ৫২৯ জন মহিলাকে নিয়ে সমিতি পথ চলা শুরু করলেও ২৪ বছরে পর বর্তমানে সমিতির পরিধি বৃদ্ধি পেয়ে সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৩০০ জন। এই সমিতির অধীনেই গড়ে উঠেছে চেতনা স্বনির্ভর গোষ্ঠী। বর্তমানে যার ১০ জন সদস্য বিভিন্ন হাতের জিনিস তৈরি করে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন। সমিতি সূত্রে খবর, এইসব মহিলারা সাধারণত সকালে বাড়ি থেকে কার্যালয়ে আসার পর সারাদিন হাতের কাজ করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন। বর্তমানে মোমবাতির চাহিদা থাকায় অনেক রাত পর্যন্ত তাঁরা কাজ করছেন। সমিতির সদস্যদের মতে, মূলত হাতে তৈরি জিনিস বিক্রির উপরে আমাদের আয় নির্ভর করে। বিশেষ করে কালীপুজোর সময় অতিরিক্ত আয় হয়। গত বছর করোনার কারণে আমাদের আয় তলানিতে ঠেকেছিল। এবারে সংক্রমণ কিছুটা কমায় কিছুটা আশার আলো দেখছি।

সমিতির অন্যতম কর্ণধার বিপ্লব ঘোষ জানান, মহিলাদের হাতে তৈরি জিনিস আমাদের কনজিউমার কোঅপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটির মাধ্যমে বিক্রি হয়। সমিতির সদস্যরা নিজেরা কেনার পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিক্রি করেন। গত বছরে সেভাবে উপার্জন না হলেও এবারে কিছুটা হলেও উপার্জনে বৃদ্ধি হয়েছে। হাসি ফুটেছে ওই মহিলাদের মুখে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#self help group

আরো দেখুন