বাংলাদেশ হিংসা নিয়ে মিথ্যাচার, বন্ধ হল তসলিমার ফেসবুক প্রোফাইল
বাংলাদেশের হিংসা নিয়ে মন্তব্য করায় ফেসবুক থেকে ‘নির্বাসিত’ তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasreen)। টুইটারে এই কথা নিজেই জানালেন বিতর্কিত লেখিকা। সাত দিনের জন্য তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তসলিমা।
চলতি বছরে উৎসবের আবহে সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। অষ্টমীর রাতে সেদেশে একাধিক দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2021) মণ্ডপ ভেঙে দেওয়া হয়। বিজয়া দশমীতে বাংলাদেশের ইসকন মন্দিরে হামলা চালানো হয়। রংপুরের পীরগঞ্জে ২৫টি বাড়িতে আগুন, ৯০টির বেশি বাড়িঘর লুটপাট এবং ভাঙচুর করা হয়। বিভিন্ন মহলে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়। প্রতিবাদে সোচ্চার হয় ইসকন কর্তৃপক্ষ। দুই বাংলার তারকারাও ধিক্কার জানান। এই অশান্তির প্রতিবাদেই ফেসবুকে সরব হয়েছিলেন তসলিমা নাসরিন।
সোমবার নিজের টুইটে প্রথমে সাতদিনের জন্য অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হওয়ার কথা জানান তসলিমা। তারপরই লেখেন, “ফেসবুক আমায় নিষিদ্ধ করেছে কারণ আমি লিখেছিলাম, হিন্দুরা হনুমানের কোলের উপর কোরান রেখেছেন ভেবে কট্টরপন্থীরা বাংলাদেশি হিন্দুদের বাড়ি ও মন্দিরে ভাঙচুর করেছেন। কিন্তু যখন জানা গেল হিন্দুরা নন ইকবাল হোসেন এই কাজটি করেছেন, তখন আর কট্টরপন্থীদের কেউ ইকবালের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেননি বা কোনও পদক্ষেপ নেননি।”
এর পরের টুইটেই আবার ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেন তসলিমা। তিনি লেখেন, “হিন্দুরা আজমের শরিফ দরগা, নিজামউদ্দিনের মতো জায়গায় প্রার্থনা করেন, সলমন খান গণেশ চতুর্থী পালন করেন, শাহরুখ খান সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে প্রার্থনা করেন। এটাই ভারতবর্ষ।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে একটি মন্দিরও ধ্বংস হয়নি। ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে চারজন মুসলিম, ২ জন হিন্দু। কোনও নারী নির্যাতিতা হননি। ২৯ অক্টোবর একথাই জানান বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। তবে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, দেবীমূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তাঁর দাবি, সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে।