আজ ভার্চুয়ালি কালীপুজোর উদ্বোধন করবেন মমতা
আজ, সোমবার শিলিগুড়িতে ভার্চুয়ালি কালীপুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এজন্য পুলিস ও প্রশাসনিক মহলে জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, কালীপুজোর দু’দিন আগেই গোটা শহর সেজে উঠেছে বাহারি আলোর মালায়। রবিবার সন্ধ্যা নামতেই পরীক্ষামূলকভাবে শহরের বেশকিছু পুজো মণ্ডপ আলোয় ঝলমলিয়ে ওঠে। আকাশ মেঘমুক্ত থাকায় পুজো উদ্যোক্তা থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। সবমিলিয়ে বাঙালির দ্বিতীয় ‘মেগা উৎসব’ কালীপুজো ও দীপাবলি ঘিরেও শহরে সাজ সাজ রব পড়ে গিয়েছে।
শিলিগুড়ি শহরে উল্লেখযোগ্য কালীপুজোগুলির মধ্যে আমরা সবাই মায়ের সন্তান কমিটির পুজো অন্যতম। এখানে মণ্ডপসজ্জার কাজ শেষ হয়েছে। আলো দিয়ে তৈরি গেটও বসানো হয়েছে। আজ, সকালে মণ্ডপে চলে আসবে প্রতিমা। আজই, কলকাতা থেকে ভার্চুয়ালি এই পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই সময়ে পুজো মণ্ডপে শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব, পুলিস কমিশনার গৌরব শর্মা সহ অতিথিরা হাজির থাকবেন। পুজো কমিটির সম্পাদক জয়দীপ সরকার বলেন, এখানে দক্ষিণাকালীর পুজো হয়। এবার ডাকেরসাজের প্রতিমার উচ্চতা হবে আটফুট। উত্তরবঙ্গের মধ্যে একমাত্র আমাদের পুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্তদপ্তরের সহযোগিতায় তা সরাসরি টিভি চ্যানেলে সম্প্রচার করা হবে। এ জন্য মণ্ডপ চত্বরে তিনটি ক্যামেরা বসানো হবে। এর বাইরে আলোর মালায় কঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম, রংবেরঙের ছাতা ও আলোয় এলাকার রাস্তা সাজিয়ে তোলা হবে। রাস্তার সামনে বসানো হয়েছে আলোর গেট।
এদিকে, আগামী ৪ নভেম্বর বাঙালির দ্বিতীয় সেরা উৎসব কালীপুজো। কালীপুজোর সঙ্গে শহর মেতে উঠবে আলোকসজ্জায়। আলোর এই উৎসব দীপাবলি। কালীপুজোকে ঘিরে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ক্লাবের পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে ব্যস্ততা চরমে উঠেছে। শহরের অধিকাংশ জায়গায় বাঁশ, কাঠ, কাপড় দিয়ে মণ্ডপসজ্জার কাজ চলছে। কোথাও রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে থিম করে বিশাল আকারের ঘট দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে, আবার কোথাও বাঁশেরকেল্লা, কোথাও আবার কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপ গড়া হচ্ছে। রবিবার সন্ধ্যাতেই পরীক্ষামূলকভাবে অধিকাংশ নির্মীয়মাণ মণ্ডপে আলো জ্বালানো হয়। শুধু পুজো মণ্ডপ নয়, বাহারি আলোর মালায় শহরের অনেক বাড়ি, আবাসন, দোকান ও মন্দির সাজিয়ে তোলা হয়েছে। আবার কেউ কেউ বাড়ি, দোকান সাজিয়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এ জন্য আলো ও প্রদীপের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় ছিল এদিন। এছাড়া শহরের ‘লাইফ লাইন’ হিলকার্ট রোড থেকে বিধান রোড সহ বিভিন্ন রাস্তা রঙিন আলোয় সাজিয়ে তুলেছে পুরসভা। এতে গোটা শহর আলোয় ঝলমলিয়ে ওঠে। এ নিয়ে শহরবাসী রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। অতিউৎসাহী বাসিন্দাদের একাংশ এদিনই রাস্তায় নামেন। তাঁরা পার্কে ও বিভিন্ন মাঠে আড্ডা দেন।
শহরের নাগরিকদের একাংশ বলেন, আলোর উৎসব দীপাবলি ও কালীপুজোর কাউন্ট-ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিন কিছুটা অন্য মুডেই কাটালাম। পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য (বিদ্যুৎ) কমল আগরওয়াল বলেন, আলোর উৎসসেব কথা মাথায় রেখে শহর সাজিয়ে তোলা হয়েছে।অন্যদিকে, দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজো ও দীপাবলিতে আকাশ মেঘমুক্ত থাকবে বলেই জানিয়েছেন সিকিম আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা। তিনি বলেন, আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। পুজো উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, আবহাওয়া অনুকূল হওয়ায় কালীপুজোতেও মণ্ডপে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়বে। প্রতিক্ষেত্রেই কোভিড বিধিকে মাথায় রাখা হবে।