বিনোদন বিভাগে ফিরে যান

আরিয়ানের জন্য বিশ্বস্ত দেহরক্ষী খুঁজছেন শাহরুখ-গৌরী

November 1, 2021 | 2 min read

কোনও কাজে ছেলেকে বাধা দিতেন না শাহরুখ খান। ইচ্ছামতো যেখানে-সেখানে যেতেন আরিয়ান। কিন্তু, মাদক কাণ্ডে প্রায় একমাস জেলে থাকার পর আর তাঁকে একা ছাড়তে রাজি নন সুপার-স্টার। এবার আরিয়ানের জন্য একজন বিশ্বস্ত দেহরক্ষী রাখতে চাইছেন শাহরুখ-গৌরী। বর্তমানে কিং খানের পাশে ছায়াসঙ্গীর মতো থাকেন রবি সিং। এমনই একজন বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তিকে খুঁজছেন আরিয়ানের বাবা। পরিবার সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। এক সদস্য জানিয়েছেন, মাদক কাণ্ডে ছেলে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ঘাবড়ে গিয়েছেন শাহরুখ। কীভাবে সবটা ঘটল তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। শাহরুখ ভাবছেন, ছেলের সঙ্গে একজন দেহরক্ষী রাখলে পরিস্থিতি হয়তো হাতের বাইরে যেত না। তাই রবি যেমন তাঁর ছায়াসঙ্গী হিসেবে সবসময় পাশে থাকেন, তেমনি একজনকে আরিয়ানের সঙ্গে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাহরুখ। ছেলে যেখানেই যাবে, সেখানেই থাকবে ওই দেহরক্ষী।

এদিকে মাদক মামলা শুরু হতেই তদন্তকারী সংস্থা নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র বিরুদ্ধে একের পর অভিযোগ উঠেছে। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন এক ব্যক্তিকে পাঁচটি মামলায় সাক্ষী করা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম আদিল ফজল উসমানি। ২০২০ সাল থেকে অন্তত পাঁচটি মাদক মামলায় তাঁকে নিরপেক্ষ সাক্ষী হিসেবে হাজির করেছে এনসিবি। আদিল ছাড়া আরও দুই সাক্ষীকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাঁরা হলেন কে পি গোসাভি ও মণীশ ভানুশালী। এরমধ্যে প্রতারণার মামলায় গোসাভিকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মণীশের বিরুদ্ধে বিজেপি ঘনিষ্ঠতারও অভিযোগ উঠেছে। আর এক সাক্ষী প্রভাকর সেইল সরাসরি মুম্বইয়ের এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে সাদা কাগজে সই করানোর অভিযোগ তুলেছেন। এভাবে মামলা শুরুর এক মাসের মধ্যে তিন সাক্ষীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন ওঠায় যথেষ্ট বেকায়দায় পড়েছে এনসিবি। এরমধ্যে আদিলের নাম সামনে আসায় তাদের বিড়ম্বনা আরও বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এনসিবির যুক্তি, এই সব মামলায় সহজে কেউ সাক্ষী হতে চায় না। তাই চেনাজানা সাক্ষীদের উপরই নির্ভর করতে হয়। যদিও তদন্তকারী সংস্থার হাতে থাকা এই সাক্ষীদের বেশিরভাগ সময়ই নিরপেক্ষ বলে মানতে চায়নি আদালত।

এদিনই মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন আরবাজ মার্চেন্ট ও মডেল মুনমুন ধামেচা। বৃহস্পতিবারই আরিয়ানের সঙ্গে তাঁদেরও জামিন মঞ্জুর করেছিল বোম্বে হাইকোর্ট। কিন্তু, কাগজপত্র সংক্রান্ত সমস্যার জন্য আরবাজ ও মুনমুনের জেল থেকে বেরতে তিনদিন দেরি হল। এরমধ্যেই ফের বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন এনসিপি সুপ্রিমো নবাব মালিক। এদিন তিনি জানিয়েছেন, এনসিবি কর্তা ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয় প্রকাশ্যে আনছিলেন তিনি। কিন্তু, ঘনিষ্ঠ কয়েকজন তাঁকে সেকাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন। এমনকী, শাহরুখের কথাও উল্লেখ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন নবাব। তাঁর কথায়, অনেকে আমায় বলেছেন যে শাহরুখ চান না আমি ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে আর কোনও অভিযোগ করি। সেক্ষেত্রে তাঁর ছেলে আরও বিপদে পড়তে পারে। এই নিয়ে অন্যান্য আইনজীবীরা আমার আইনজীবীর ছেলেরও মগজধোলাই করেছিল। সেও আমাকে থেমে যেতে বলে। ’ তাঁর সংযোজন, খুন করা হতে পারে বলেও অনেকে সতর্ক করেছে। আমাকে বলা হয়, মাদক মামলায় প্রচুর টাকা, দুষ্কৃতী যুক্ত রয়েছে। তাই এতে আমার প্রাণও যেতে পারে। বারবার আমাকে চুপ করানোর চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু, আমি রাজি হইনি।

মাদক মামলায় বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মোহিত কম্বোজের বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন নবাব। এজন্য মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করলেন মোহিত। তিনি জানিয়েছেন, বেফাঁস মন্তব্য বন্ধ করতে এর আগেই এনসিপি নেতাকে বারণ করা হয়েছিল। কিন্তু, তিনি শোনেননি। তাই আইনি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#shah rukh khan, #Aryan Khan, #Gauri Khan

আরো দেখুন