এবার সিএনজি-ইলেক্ট্রিক বাস পাচ্ছে এনবিএসটিসি
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার হাতে আসছে ৫০টি বাস। এই বাসগুলির কয়েকটি কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস বা সিএনজিতে চলবে। কিছু হবে ইলেক্ট্রিক বাস। বাসগুলি সংস্থার হাতে চলে এলেই আগামী দিনে তা অল্প দূরত্বের রুটে চালানো হবে। ডিজেলের দাম যেখানে সেঞ্চুরি করেছে, সেখানে এই বিকল্প জ্বালানি চালিত গাড়ি আগামীতে সংস্থার ব্যয় কমাতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইলেক্ট্রিক বাস চালানোর জন্য সংস্থার ডিপোগুলিতে চার্জ দেওয়ার পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। সেই সঙ্গে সিএনজি গ্যাস কীভাবে ভরা হবে তা নিয়ে নির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি করা হবে বলে সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। এ ধরনের বাস এসে পৌঁছলে মোটামুটি ৫০-৬০ কিমি দূরত্বের মধ্যে যে রুটগুলি আছে, সেখানে চলাচল করবে বলে এনবিএসটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরু থেকে অত্যাধুনিক এই বাসগুলি পথে নামানো যাবে বলে আশা সংস্থার।
এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় বলেন, আমরা ৫০টি বাস পাব। এরমধ্যে সিএনজি ও ইলেক্ট্রিক বাস থাকবে। সম্প্রতি পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দিনহাটা বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে এসেছিলেন। সেই সময়ও তাঁর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আশা করছি, শীঘ্রই বাসগুলি আমরা পেয়ে যাব। নতুন ওই অত্যাধুনিক বাস আনলেই হবে না, এ জন্য আগে কিছু পরিকাঠামো গড়া দরকার। ওই পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। আমি নভেম্বর মাসের শুরুতে কলকাতায় যাব। সেখানে পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। ডিজেলের দাম ১০০ টাকা পার করেছে। স্বাভাবিকভাবেই বিকল্প চিন্তাভাবনা না করলে সেভাবে আয় করা সম্ভব হবে না। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইলেক্ট্রিক বাসগুলি একবার চার্জ দিয়ে প্রায় ২০০ কিমি পর্যন্ত যেতে পারে। তাই সংস্থা চাইছে, অপেক্ষাকৃত কম দূরত্বের রুটে ওই বাস চালাতে। সংস্থার অধীনে মোট চারটি ডিভিশনে ২১টি ডিপো রয়েছে। যে ডিপোগুলিতে এই বাস দেওয়া হবে, সেই সমস্ত ডিপোয় চার্জের ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। যাতে ইলেক্ট্রিক বাস সেখানকার চার্জিং পয়েন্ট থেকে চার্জ করে আবার চলতে পারে। অপরদিকে, সিএনজির ক্ষেত্রে কোথা থেকে গ্যাস ভরা হবে, তার পরিকাঠামো কোথায় কোথায় তৈরি করা হবে, সে বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সাধারণ বাসে যে সংখ্যক সিট থাকে, ওই বাসেও ততগুলিই আসন থাকবে। বাসের রংও উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসের রঙেই হবে। সংস্থার দাবি, ডিজেলের দাম যেভাবে ঊর্ধ্বমুখী, তাতে ভবিষ্যতে ধীরে ধীরে এই ধরনের বাস দিয়ে সংস্থার পরিষেবা চালাতে হবে। সংস্থা চাইছে, ধীরে ধীরে ডিজেল চালিত গাড়ির সংখ্যা কমিয়ে আনতে। যেসব গাড়ি পুরনো হচ্ছে, সেগুলিকে নির্দিষ্ট সময়ের পর বসিয়ে দিতে। তাই এখন থেকেই যদি এ জন্য পরিকাঠামো গড়ে উঠতে শুরু করে, ভবিষ্যতে সংস্থার সুবিধা হবে।