পঞ্জাব নির্বাচনে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে কাজ করতে চায় কংগ্রেস! জল্পনা তুঙ্গে
একটা সময় তাঁর কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে জোর জল্পনা ছড়িয়েছিল। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের অন্দরের দ্বন্দ্বের জন্য প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) কংগ্রেসে যোগ দেওয়া হয়নি। বরং পিকে এখন অঘোষিতভাবেই কাজ করছেন তৃণমূলের সঙ্গে। মাঝে মাঝেই বাইরে থেকে কংগ্রেসের দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছেন কটাক্ষের তির। দিন কয়েক আগেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ব্যর্থতা এবং দূরদর্শিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে পিকে’কে। কিন্তু এসব সত্ত্বেও ভোটকুশলীকে ‘হাত’ছাড়া করতে চাইছে না কংগ্রেস (Congress)। পাঞ্জাবের নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী চরণজিত সিং ছান্নি নিজে পিকে’কে আসন্ন পাঞ্জাব নির্বাচনে দলের পরামর্শদাতা হিসাবে চাইছেন।
সম্প্রতি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছান্নি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইঙ্গিত দিয়েছেন, পাঞ্জাব নির্বাচনের জন্য ফের প্রশান্ত কিশোরকে পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়োগ করা হতে পারে পিকে’কে। দলের হাইকম্যান্ডের কাছেই নাকি এই ইঙ্গিত তিনি পেয়েছেন। কংগ্রেসের পাঞ্জাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হরিশ চৌধুরী নাকি ইতিমধ্যেই তাঁকে বলে দিয়েছেন, প্রশান্তকে দলের কৌশল এবং প্রস্তুতি নিয়ে তথ্য দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে। এমনকী এ নিয়ে নাকি ছান্নি বিধায়কদের সঙ্গেও আলোচনা করে ফেলেছেন। যদিও পিকে (PK) নিজে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করতে কতটা আগ্রহী হবেন, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
২০১৭ পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে পিকে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করেছিলেন। তাঁর পরামর্শেই অমরিন্দর সিংকে ‘পাঞ্জাব দা ক্যাপ্টেন’ হিসাবে তুলে ধরে ভোটের ময়দানে নামে হাত শিবির। তাতে অভাবনীয় সাফল্যও পায় হাত শিবির। ২০২২ ভোটের আগেও প্রশান্তের পরামর্শ চেয়েছিলেন অমরিন্দর (Amrinder Singh)। এমনকী, তাঁকে নিজের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগও করেন। কিন্তু বাংলার ভোটের ফলাফলের পরই রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেন পিকে। এ বছর ৫ আগস্ট পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শদাতা হিসাবেও কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেন পিকে। জানিয়ে দেন, আসন্ন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে কারওর হয়েই কাজ করবেন না তিনি। আপাতত বিরতিতে আছেন তিনি। কিন্তু এরই মধ্যে আবার গোয়ায় তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে তাঁর সংস্থা আই-প্যাক। এমনকী পিকে নিজেও সেখানে গিয়েছিলেন।
তারপরই ফের জল্পনা শুরু হয়েছে, পিকেকে নাকি কংগ্রেস ফের পাঞ্জাবের দায়িত্ব দিতে চাইছে। এবং সেটা পাঞ্জাবের নেতৃত্ব নয়, দিন দুই আগে যে কংগ্রেস হাই-কম্যান্ডকে তিনি অদূরদর্শী বলে কটাক্ষ করেছিলেন, সেই হাই কম্যান্ডই নাকি প্রশান্ত কিশোরকে চাইছে। এখন দেখার পিকে কী সিদ্ধান্ত নেন।