কালীপুজোর আগে জবার দাম আকাশছোঁয়া, মাথায় হাত বাঙালির
রাত পেরলেই শক্তির প্রতীক মা কালীর আরাধনায় মেতে উঠবে আপামর বাঙালি। আর কালীপুজোর আগে জবাফুলের দামে কার্যত আগুন লেগেছে। বোলপুরের পুজো উদ্যোক্তা থেকে ক্রেতা সকলেরই জবাফুলের মালার দাম শুনে আঁতকে ওঠার জোগাড়। এক লাফে প্রায় চারগুণ বেড়ে গিয়েছে জবাফুলের মালার দাম। পুজোর দিন আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন বোলপুরের ফুল ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে ফুলের কালোবাজারি হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন অনেকেই। মা কালীর আরাধনা করতে গেলে প্রধান উপকরণ হলো জবাফুল। মায়ের কাছে মনস্কামনা পূরণের জন্য ১০৮টি জবাফুলের মালা নিবেদন করেন সকলেই। বোলপুরের বাজারে যে সব ফুলের দোকান রয়েছে সেখানে জবাফুল আসে মূলত রানাঘাট, কোলাঘাট থেকে হাওড়া হয়ে। মূলত ছোট ও মাঝারি সাইজের জবাফুল পাওয়া যায় বোলপুরে। তবে ক্রেতার চাহিদা মতন ঝুমকো জবা নিয়ে আসা হয় বলে জানিয়েছেন ফুল ব্যবসায়ীরা। তবে এই বছর জবাফুলের বাজারে কার্যত আগুন লেগেছে।
কালীপুজোর সময় চাহিদা বুঝে জবাফুলের মালার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় চারগুণ। আগে ১০৮টি জবাফুলের যে মালা বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। পুজোর দিন এই দাম আরও বাড়তে পারে বলেই জানাচ্ছেন বোলপুরের ফুল ব্যবসায়ীরা। কেন এত দাম? সেই প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীদের দাবি, দিন কয়েক আগে ১০০ পিস জবাফুলের দাম ছিল ৫০-৬০ টাকা। যা এখন দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গিয়েছে। ফুলের দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই মালার দাম বাড়াতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। পাশাপাশি আরও একটি কারণ প্রধান হয়ে উঠেছে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বলে মনে করা হচ্ছে। তা হল হঠাৎ করেই পড়ে যাওয়া ঠান্ডা। আবহাওয়া ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার কারণে জবাফুল তাড়াতাড়ি নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে এই বছর অতি বর্ষণের ফলেও জবা ফুলের গাছ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাই প্রয়োজনের তুলনায় জোগান কম রয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। কিন্তু কালীপুজোর জন্য লালজবার চাহিদা প্রচুর। তাই খোলাবাজারে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে, পাশাপাশি চলছে কালোবাজারি। এই অভিযোগ করতে শোনা যাচ্ছে সাধারণ ক্রেতা থেকে পুজো কমিটির কর্তাদেরও। যদিও এই বিষয়ে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কালোবাজারির কোনও খবর মেলেনি বোলপুরে। কোনও অভিযোগ থাকলে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে। বোলপুরের ফুল ব্যবসায়ী উদয় ঘোষ বলেন, শহরবাসীকে যথাসম্ভব কম দামে ফুল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কালীপুজোর জন্য জবাফুল কিন্তু অনেক বেশি দাম দিতে হচ্ছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই ফুলের মালার দাম বেড়ে যাচ্ছে।