দেশের সেবাই রাজনীতিতে আসার একমাত্র কারণ, জানালেন লিয়েন্ডার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়া সফরের সময়ই সবাইকে তাক লাগিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ। গোয়ায় তৃণমূলের জনসভায় যোগদান করেই তাঁর প্রথম কথা, আমি সব সময় দেশের সেবা করতে চেয়েছি। সে দেশের হয়ে খেলেই হোক বা মানুষের জন্যে কাজ করে।
পিটিআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকরে লিয়েন্ডার বলেন, ‘আমি তিরিশ বছর আগে দেশের হয়ে টেনিস খেলা শুরু করি। তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমার একটাই লক্ষ্য দেশের সেবা করা। এখন শুধু সেই সেবা করার মাধ্যমটার পরিবর্তন হল।’
মমতাকে প্রকৃত নেতা বলে সম্মোধন করে লিয়েন্ডার বলেন, ‘দিদি কিছু মনস্থির করলে, সেটা করেই ছাড়েন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি অনেক আগেই দেশের সেবা করতে রাজনীতিতে যোগ দিতে চেয়েছিলাম। দেশের হয়ে ৩০ বছর খেলেছি। এটাই রাজনীতিতে আসার উপযুক্ত সময়। আর আমাকে জীবনের এই নতুন অধ্যায় শুরু করার সাহস জুগিয়েছেন মমতা দিদি।’
নাম না করে পরোক্ষভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করে লিয়েন্ডার বলেন, ‘যখন দেখি বিভাজনের রাজনীতি চলছে তখন কষ্ট হয়। আমাকেও আমার ধর্ম, বংশ নিয়ে বহু প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। আমার মা বাঙালি, বাবা গোয়ান। কিন্তু আমি একজন ভারতীয়। আমি বিশ্বাস করি রাজনীতির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ মানুষের জন্যে ভালো কাজ করা। দেশের মানুষ সুখী থাকলে তবেই তো দেশ এগোবে।’
গোয়া বিধানসভা ভোটে লড়বেন কিনা যদিও এই বিষয়ে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজী হননি পদ্মভূষণ পুরস্কার প্রাপ্ত এই খেলোয়াড়। এ বিষয় তিনি বলেন, আমাদের দলে আমরা আলোচনা করে একটা টিম হয়ে সিদ্ধান্ত নিই। আমাদের ক্যাপ্টেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি চান আমরা নির্বাচনে লড়াই করি তিনি নিশ্চই জানাবেন।
নরেন্দ্র মোদীর পোপের সাথে সাম্প্রতিক বৈঠক গোয়ার খ্রিস্টান ভোটারদের প্রভাবিত করবে কী না এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তাঁর উত্তর, ‘ভোটাররা এইসব খবরকে গুরুত্ব দেন না। গোয়ায় বেকারত্ব, যানবাহন, জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জল সংরক্ষণের মতো সমস্যা রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য তা দূর করা।’
লিয়েন্ডার বলেন, ‘পোপের সাথে দেখা করার সৌভাগ্য আমার একবার হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীও সেই সুযোগ পেয়েছেন জেনে আমি খুশি। উনি আমাদের দেশে আসবেন শুনে খুব ভালো লাগছে।’
তিনি বলেন, ‘দিনের শেষে মানুষ এমন কাউকে চায় যে তাদের দুঃখ, দুর্দশার কথা শুনবে।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে বলেন, ‘তিনি প্রগতিশীল, জনদরদী নেত্রী। কথা রাখেন। দিদি মনে করেন মানুষের জন্যে কাজ করাই তাঁর একমাত্র ধর্ম।’