মোদী সরকারের বিরুদ্ধে জোড়া প্রস্তাব আসছে বিধানসভায়
চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিপুল জয়ে যার পর নাই উজ্জীবিত শাসক শিবির। নরেন্দ্র মোদীর দলকে আবারও ধরাশায়ী করার পর আগামীদিনে আরও চড়া সুরে কেন্দ্রবিরোধী অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করে দিল তারা। তারই ইঙ্গিত দিয়ে মঙ্গলবার তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, চলতি বিধানসভার অধিবেশনে তাঁরা পেট্রপণ্য ও রান্নার গ্যাসের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি এবং বিএসএফের এক্তিয়ার এলাকা বাড়ানোর বিষয়ে মোদী সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে প্রস্তাব পাশ করাবেন। অধিবেশনের শেষ লগ্নে বিজেপি বিধায়করা অংশ নিলে তখন এ নিয়ে আলোচনা হবে কি না, তা অবশ্য এখনও ঠিক হয়নি। তবে যখনই হোক, কেন্দ্রবিরোধী এই আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝাঁঝালো ভাষণের প্রত্যাশায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দল।
এদিন বিধানসভায় তাঁর চেম্বারে সাংবাদিকদের এই পরিকল্পনার কথা জানান পরিষদীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, পেট্রল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম কার্যত নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় চলে গিয়েছে। দু’টি জ্বালানি সেঞ্চুরি পার করেছে। আর গ্যাসের দাম প্রায় হাজার টাকার কাছাকাছি। এর দরুণ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস অগ্নিমূল্য হয়ে উঠেছে। কেন্দ্রের এহেন নির্মম পদক্ষেপের ফলে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। কিন্তু মোদীবাবুদের কোনও হেলদোল নেই। তাই দলনেত্রীর নির্দেশে তৃণমূল শুরু থেকেই এই ইস্যুতে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। এবার আমরা বিধানসভায় এব্যাপারে প্রস্তাব গ্রহণ করে তা দিল্লিতে পাঠাব।
পার্থবাবু বলেন, একইভাবে রাজ্যের অগোচরে সম্প্রতি বিএসএফের এক্তিয়ার এলাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সীমান্তের অভ্যন্তরে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা এতদিন বিএসএফের এক্তিয়ারভুক্ত ছিল। হঠাৎ কেন্দ্র বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করে দিয়েছে। এটা রাজ্যের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপের নামান্তর। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপরও আঘাত বটে। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে এর প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। এবার আমরা রাজ্য বিধানসভাতেও এর বিরুদ্ধে প্রস্তাব গ্রহণ করে দিল্লিতে পাঠাব।