দেশ বিভাগে ফিরে যান

রেলে দীর্ঘদিন বন্ধ গ্রুপ-বি’র বহু পদে প্রমোশন, বিড়ম্বনায় মোদী সরকার

November 4, 2021 | 2 min read

গ্রুপ-বি’র বহু পদে দীর্ঘদিন বন্ধ পদোন্নতি। গ্রুপ-বি পদের বহু অফিসার গত ১৪ বছর ধরে জুনিয়র স্কেলেই কাজ করছেন। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি না হওয়ায় বাড়ছে সামাজিকভাবে অপদস্থ হওয়ার ঘটনা। বিভিন্ন সময় হাস্যস্পদ হতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের। অবিলম্বে পদক্ষেপ নিন। এই ইস্যুতে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান সুনীত শর্মাকে দফায় দফায় চিঠি পাঠিয়েছে আধিকারিক সংগঠন। কর্মী স্বার্থে গৃহীত একাধিক কর্মসূচির ঢক্কানিনাদের মধ্যেই এমন চিঠিতে বিড়ম্বনায় পড়ে গিয়েছে রেল বোর্ড। যা রীতিমতো অস্বস্তি বাড়িয়েছে রেল বোর্ডের শীর্ষ কর্তাদের। বিষয়টি নিয়ে এতটাই চাপ সৃষ্টি হয়েছে যে, এই ব্যাপারে চলতি মাসের শেষেই প্রমোশন কমিটির বৈঠক ডাকা হতে পারে।

সম্প্রতি ইন্ডিয়ান রেলওয়ে প্রোমোটি অফিসার্স ফেডারেশনের আওতাভুক্ত অ্যাসোসিয়েশন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে কড়া চিঠি পাঠিয়েছে। সেখানেই অভিযোগ করা হয়েছে, গ্রুপ-বি অফিসারদের পদোন্নতির লক্ষ্যে ডিপার্টমেন্টাল প্রোমোশন কমিটির (ডিপিসি) আয়োজন করতে অযথা দেরি হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রেলের মেকানিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, স্টোর্স, ইলেক্ট্রিক্যাল, অ্যাকাউন্টস, সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকম, ট্র্যাফিক এবং পার্সোনেলের মতো বিভাগের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা। মূলত যে দপ্তরগুলো রেল নেটওয়ার্কের অন্যতম প্রধান ভিত্তি হিসেবেই পরিচিত। 

ওই চিঠিতে এমসিএফ প্রোমোটি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন স্পষ্ট অভিযোগ করেছে, রেলের মেকানিক্যাল বিভাগের গ্রুপ-বি আধিকারিকদের পদোন্নতি সংক্রান্ত সমস্যা সবথেকে তীব্র। ২০১৬ সাল থেকেই এর ডিপিসি আয়োজনে বিলম্ব হচ্ছে। রেল আধিকারিকদের ওই সংগঠন আরও  জানিয়েছে, কেউ কেউ যেমন গত ১৪ বছর ধরে গ্রুপ-বির জুনিয়র স্কেলে কাজ করে যাচ্ছেন, তেমনই অনেকে পদোন্নতি না পেয়ে শেষে জুনিয়র স্কেলের কর্মী হিসেবেই অবসর নিতে চলেছেন অথবা অবসর নেওয়ার দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছেন। এর ফলে কর্মী-আধিকারিকদের মধ্যে হতাশাও সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে রেল বোর্ডের কাছে।

রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল, সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকমের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের গ্রুপ-বি পদের কর্মীদের পদোন্নতি আটকে রয়েছে ২০১৮ সাল থেকেই। এমনই উল্লেখ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট চিঠিতে। রেলমন্ত্রীর কাছে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে এই ইস্যুতে, তাতে অবশ্য আরও চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানানো হয়েছে। সম্প্রতি রেলমন্ত্রীর কাছে পাঠানো চিঠিতে ইন্ডিয়ান রেলওয়েস প্রোমোটি অফিসার্স ফেডারেশন বলেছে, নিজেদের শিথিলতার কারণেই রেলের বিভিন্ন জোন এবং উৎপাদন সংস্থাগুলি নির্ধারিত সময়ে ডিপিসির জন্য তথ্য দিচ্ছে না। 

সংগঠনের অভিযোগ, একে জোনগুলির শিথিলতা, অন্যদিকে করোনার কারণে গোটা প্রক্রিয়াই বিলম্বিত হয়ে গিয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া শুরু করা সত্ত্বেও যেভাবে পরবর্তীকালে তা স্থগিত হয়েছে, তা  অন্যায্য। সাফ জানিয়েছে রেল আধিকারিকদের ওই সংগঠন। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Railway, #Promotion

আরো দেখুন