“রাজ্য নেতাদের কারও সঙ্গে কারও মিল নেই” বেসুরো সৌমিত্র খাঁ
২০২১ এ দলের পারফরম্যান্স একেবারে তথৈবচ। অমিত শাহ ২০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা সেট করে দিয়ে গেলেও মাত্র ৭৭ আসনেই থেমে গেছিল বিজেপির জয়ের রথ। তারপর থেকেই বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাওয়া যেনো একটা রুটিনে দাঁড়িয়েছে, ঠিক যেমন ছিল ভোটের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া একটা রুটিনের মত। কিন্তু এতদিন বিজেপির ছোট নেতা এবং দলবদলুরা বেসুরো হলেও এবারে তাল কাটলো বিজেপির প্রধান নেতৃত্বের মধ্যেই। বেসুরো হলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
কিছুদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসেন তার স্ত্রী সুজাতা। স্ত্রীর তৃণমূলে যোগদানের পর সুজাতাকে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ। তবে দিন কতক হলো, বিজেপির অভ্যন্তরের বেশ কিছু নেতা ২০২১ সালে হারের জন্য বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে দায়ী করছে। যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেন তারা আবার তৃণমূলে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
শান্তিপুর, খড়দহ, গোসাবা ও দিনহাটা, এই চার কেন্দ্রে হারের পর বিস্ফোরক দলেরই সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। দলের শীর্ষনেতৃত্বের দিকেই তাঁদের আক্রমণের তির। সৌমিত্রর বক্তব্য, দলের নেতৃত্বে কারও সঙ্গে কারও মিল নেই। একজন নেতার সঙ্গে অন্যজনের মিল নেই। তার প্রতিফলন ঘটছে নিচুতলাতেও। বাংলা থেকে দলের চারজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দিকেও আঙুল তুলেছেন তিনি। বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা রাস্তায় নামেন না। মানুষ কোনও আশা দেখতে পাচ্ছেন না।”
পাশাপাশি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “দুয়ারে সরকার” প্রকল্পের প্রভাব যে নির্বাচনের ফলাফলেও পড়ছে তা এদিন স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।