এনসিবির দপ্তরে সাপ্তাহিক হাজিরা দিতে এলেন আরিয়ান খান
শুক্রবার বেলায় এনসিবি দপ্তরের সামনে দেখা মিলল শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের। সাদা টি-শার্ট ও নীল-হলুদ জ্যাকেট পরে কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার ব্যালাড এস্টেটের অফিসে হাজির হন আরিয়ান। গত শনিবার আর্থার রোড জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর প্রথম মন্নতের বাইরে পা রাখলেন আরিয়ান। এদিন এনসিবির দপ্তরে সাপ্তাহিক হাজিরা দিতে পৌঁছেছেন আরিয়ান।
গত ২৮শে অক্টোবর বম্বে হাই কোর্টে মাদককাণ্ডে গ্রেফতার আরিয়ান খানের জামিন মঞ্জুর করেছিল। তবে জামিনের পরিবর্তে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে এই তারকা পুত্রের উপর। যার মধ্যে অন্যতম এই সাপ্তাহিক হাজিরা। প্রত্যেক শুক্রবার এনসিবির দপ্তরে হাজির থাকতে হবে আরিয়ান খানকে। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত উপস্থিত থাকতে হবে।
বম্বে হাই কোর্ট আরিয়ানকে ১ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন হয়। পাশাপাশি চাওয়া হয়েছিল সিউরিটি। উল্লেখ্য আরিয়ানের জামিনদার হয়েছেন জুহি চাওলা।
বম্বে হাই কোর্টের তরফে আরিয়ানের জামিনের শর্তে আরও বলা হয়েছিল, এনডিপিএস আদালতে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে আরিয়ানকে, ছাড়া যাবে না দেশ। প্রয়োজনে নিতে হবে এনডিপিএস আদালতের অনুমতি। এমনকী মুম্বইয়ের বাইরে যেতে হলে এই মামলার তদন্তকারী অফিসারকে আগে থেকে জানাতে হবে এবং তাঁর অনুমতি নিতে হবে। এই মামলার কোনও সহ-অভিযুক্তর সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ রাখা যাবে না। সুতরাং ছেলেবেলার বন্ধু আরবাজের সঙ্গে কথা বন্ধ আরিয়ানের। এই মামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যোগাযোগ রয়েছে এমন কারুর সঙ্গেই যোগাযোগ রাখা যাবে না। তদন্তের সঙ্গে জড়িত কোনও সাক্ষীকে প্রভাবিত করা বা তথ্য-প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা থেকে বিরত থাকবে অভিযুক্ত। আরিয়ান তাঁর উপর আরোপিত জামিনের শর্তের একটিও যদি মেনে চলতে ব্যর্থ হন তাহলে এনসিবির তরফে এনডিপিএস আদালতে আবেদন জানানো যাবে অভিযুক্তর জামিন খারিজের।
গত ২রা অক্টোবর গোয়াগামী প্রমোদতরী থেকে আটক করা হয় আরিয়ান-সহ ৭ জনকে। তারপর মাদক সেবন ও মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে থাকবার অপরাধে ৩ অক্টোবর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। গত শনিবার হেফাজতের ২৮ দিন পর বাড়ি ফিরেছিলেন আরিয়ান খান।