‘মদ নিষিদ্ধ’! বিজেপি শাসিত বিহারে বিষমদ খেয়ে মৃত ২৪
ফের বিষমদ কাণ্ডের ছায়া প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে (Bihar)। বিহার আবার সেই রাজ্যে, যেখানে কিনা সমস্ত প্রকারের মদ বিক্রি নিষিদ্ধ। বিজেপি-জেডি (ইউ) জোটের সেই বিহারের পশ্চিম চম্পারন এবং গোপালগঞ্জে বিষমদ খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন প্রচুর মানুষ। গত দু’দিন ধরে চলা এই পরিস্থিতিতে প্রাণ গিয়েছে ২৪ জনের। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র পশ্চিম চম্পারণ জেলাতেই ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বিষমদ খেয়ে। অপরদিকে গোপালগঞ্জেও বাড়ছে মৃতের সংখ্যা ৮। দক্ষিণী তেলহুওয়া পঞ্চায়েতের পুলিশ সুপার উপেন্দ্র নাথ ভর্মা জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতি দেখে প্রাথমিকভাবে এটাই অনুমান করা যাচ্ছে, বিষাক্ত তরল খাওয়ার জন্যই মৃত্যু ঘটেছে এতজনের। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’ গত ১০ দিনে উত্তর বিহারে এই নিয়ে বিষমদের এমন ঘটনা ঘটল তৃতীয় বার। পরিস্থিতে দেখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন, ”আমি বারবার বলেছি, ভুল জিনিস খেলে এই ধরনের ঘটনা ঘটবেই। আমি আমার অফিসারদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলছি। উৎসব মিটে গেলেই এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।”
বিরোধীদের অভিযোগ, নামেই ‘ড্রাই স্টেট’ হলেও বিহারে এখন রমরমিয়ে চলছে বেআইনি মদের কারবার। আর সেখানেই বারবার ঘটে যাচ্ছে বিষক্রিয়া। যদিও চোরাপথে কীভাবে মদ বিক্রি হচ্ছে, সেদিকে নজরদারি বাড়ানোর কথা বলেছে প্রশাসন। যদিও এখনও পর্যন্ত দুই জেলার প্রশাসনই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলেনি।
উল্লেখ্য, গত দশদিনে এই নিয়ে তৃতীয়বার এ ধরনের মৃত্যু হল উত্তর বিহারে৷ রাজ্যের মন্ত্রী জনক রাম ইতিমধ্যেই ছুটে গিয়েছেন সেখানে। পরে তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তিদের মৃত্যু সন্দেহজনক মদ খেয়ে হয়েছে, তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলাম আমি।” তাঁর সংযোজন, ”আমাদের সরকারের বদনাম করতে এটি একটি ষড়যন্ত্র হতেই পারে৷” মহম্মদপুর গ্রামেও কিছু ব্যক্তি এই ধরনের সন্দেহজনক উপসর্গ নিয়েই মারা গিয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, অনেকের অন্তেষ্টিক্রিয়া করে ফেলেছে তাঁদের পরিবার৷ চিকিৎসারত অবস্থাতেই মারা গিয়েছিলেন চারজন। দু’জনের আবার মৃত্যু হয়েছিলেন হাসপাতালে পৌঁছোনোর পথেই। এই কাণ্ডে চারজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ৷