‘সুব্রতদা ছিলেন হিরো’ -ফিরহাদ, শেষ শ্রদ্ধায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন সুব্রত বক্সী
রবীন্দ্রসদনে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। অন্যদিকে, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানালেন, ছাত্র রাজনীতি করার সময় সুব্রতই ছিলেন তাঁদের উত্তমকুমার।
সেই সঙ্গে ফিরহাদের মন্তব্য, ‘‘সুব্রতদা ছিলেন আমাদের হিরো। হাতে ধরে ধরে আমাকে কাজ শিখিয়েছেন। ওঁর অনুপ্রেরণাতেই রাজনীতিতে আসা।’’
শুক্রবার রবীন্দ্র সদনে প্রয়াত পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন সুব্রত বক্সী। অস্ফূট স্বরে কিছু বলতে চাইলেও তাঁর কণ্ঠস্বর রূদ্ধ হয়ে আসে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন দুই সুব্রত রাজনীতি করেছেন এক মঞ্চে। আবার ভোটে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেও অবতীর্ণ হয়েছেন। ২০০৬ সালের বিধানসভা ফোটে কংগ্রেস প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত বক্সীর দ্বৈরথ দেখা গিয়েছিল। সেই লড়াইয়ে জিতেছিলেন বক্সী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ স্বাস্থ্যের অবনতি হয় সুব্রতের। স্টেন্ট থ্রম্বোসিসে আক্রান্ত হন তিনি। আইসিসিইউ-তেও স্থানান্তরিত করা হয়েছিল তাঁকে। খবর পেয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবারই রাত ৯টা ২২ মিনিট নাগাদ প্রয়াত হন তিনি। বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। ২৪ অক্টোবর, রবিবার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে এসএসকেএম হাসপাতালে যাওয়ার পর সুব্রতকে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। শ্বাসকষ্ট বাড়ায় উডবার্ন ওয়ার্ডের আইসিসিইউ-তে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সেখানেই রাত ৯টা ২২ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। শুক্রবার সকালে ‘পিস ওয়ার্ল্ড’ থেকে রবীন্দ্র সদনে নিয়ে যাওয়া হয় সুব্রতের দেহ।