পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আধার আপডেট – দেশে সেরা বাংলা
এখন আধারের সঙ্গে মোবাইল নম্বর যোগ করার কাজটি করে পোস্ট অফিসও। পাশাপাশি আধারের সঙ্গে ই-মেল যোগ করা যায় ডাকঘর থেকে। ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক বা আইপিপিবি’র মাধ্যমে এই পরিষেবা দেয় কেন্দ্র। সাধারণ মানুষ চাইলে বাড়িতে বসেই সেই সুবিধা নিতে পারেন। ডাক কর্মী বা আইপিপিবি’র কর্মীরাই সেই পরিষেবা দিয়ে থাকেন। গত চার মাস আগে পরিষেবাটি চালু হওয়ার পর থেকে এই কাজে দেশের শীর্ষে রয়েছে বাংলা। এখনও পর্যন্ত ৩০ লক্ষেরও বেশি গ্রাহককে এই পরিষেবা দিয়েছে আইপিপিবি। দেশে এখনও পর্যন্ত আধার ‘আপডেট’ করার যত সংখ্যক পরিষেবা দেওয়া হয়েছে, তার এক তৃতীয়াংশ দখল করে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। মোবাইল নম্বর ও ই মেল সংযোগ পাশাপাশি শিশুদের আধার কার্ডের পরিষেবাও শীঘ্রই চালু হবে এরাজ্যে, এমনটাই জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, এরাজ্যে আধারের আপডেট করিয়েছেন প্রায় ৩০ লক্ষ ২৩ হাজার মানুষ। দেশে মোট আধার আপডেট হয়েছে প্রায় ৯০ লক্ষ ৫৬ হাজার জনের। অর্থাৎ এক তৃতীয়াংশেরও বেশি সাফল্য পেয়েছে বাংলা। দ্বিতীয় স্থানে আছে ওড়িশা। তবে তারা এরাজ্যের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। সেখানে আপডেট করার অঙ্ক প্রায় ১৭ লক্ষ ৩০ হাজার। তৃতীয় স্থানে থাকা কর্ণাটকের হিসেব, সেখানে প্রায় ১০ লক্ষ ২১ হাজার আধার আপডেট করা হয়েছে আইপিপিবি’র মাধ্যমে। সূত্রের খবর, এই কাজের জন্য এখনও পর্যন্ত এরাজ্যের ১ হাজার ৬৮২ জন ডাককর্মীকে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। সেই সংখ্যাকে আগামী মার্চের মধ্যে পাঁচ হাজারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষিত কর্মীর সংখ্যা বাড়লে আধার আপডেট করার কাজটি আরও দ্রুততার সঙ্গে করা যাবে বলে আশা করছে ডাক বিভাগ।
ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক আগেই ঘোষণা করেছিল, তারা নভেম্বর থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের আধার কার্ড দেবে। অর্থাৎ আধারের জন্য ছবি তোলা থেকে শুরু করে কার্ড হাতে তুলে দেওয়া— সবটুকুই করবে এই ব্যাঙ্ক। এক্ষেত্রে অভিভাবকরা চাইলে তাঁদের সন্তানের জন্য আধার কার্ড করাতে পারেন বাড়িতে বসেই। যেহেতু প্রথমবার আধার করার ক্ষেত্রে কোনও খরচ দিতে হয় না, তাই এক্ষেত্রেও আলাদা করে কোনও খরচ নেই। আইপিপিবি সূত্রে খবর, প্রযুক্তিগত কারণে শিশুদের আধারের কাজে এখনও হাত দেওয়া যায়নি। তবে শীঘ্রই তা চালু করা হবে। প্রথম ধাপে দেশের ৯৮৮টি এলাকায় ওই পরিষেবা চালু হবে। তারপর তা অন্যত্র ছড়িয়ে দেওয়া হবে।