বঙ্গ বিজেপির অন্দরে ক্রমশ অভিমান বাড়ছে, স্বীকার করলেন রাহুল সিনহা
দল ছাড়তে চাওয়া জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ালেন রাহুল সিনহা। তাঁর বার্তা, “একটা অভিযোগ মেনে নিচ্ছি, যতটা ওঁর পাশে থাকা দরকার, ততটা পারিনি।” এর পরই রাহুলের খোঁচা, “শুধু জয় নয়, দলের অনেকেই হতাশ। নিঃসঙ্গ।” সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির এহেন মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে দল ছাড়ছেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় বিজেপির উত্থানের আগে থেকেই দলে রয়েছেন। একাধিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জিততে পারেননি তিনি। তবে জাতীয় কর্ম সমিতির সদস্য ছিলেন জয়। সাম্প্রতিক রদবদলের সময় তাঁকে বাদ দিয়ে জাতীয় কর্ম সমিতিতে আনা হয় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল ছেড়েছেন জয়।
এ নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে রাহুল সিনহা বলেন, “রাজনৈতিক, পারিবারিক এবং আর্থিক হতাশা রয়েছে জয়ের। একটা অভিযোগ মেনে নিচ্ছি, যতটা ওঁর পাশে থাকা দরকার, ততটা পারিনি।” এর পরই তাঁর খোঁচা, “শুধু জয় নয়, দলের অনেকেই হতাশ, নিঃসঙ্গ। আর বাইরের লোক তো রয়েইছে তাঁদের কুবুদ্ধি দেওয়ার জন্য।” রাহুল সিনহার এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাঁদের কথায়, বঙ্গ বিজেপির অন্দরে ক্রমশ অভিমান বাড়ছে। পুরনো একাধিক নেতার মনে ক্ষোভ জন্মাচ্ছে। দলের তরফে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে না কেউ। সেই ক্ষোভের ইঙ্গিতই দিয়ে রাখলেন রাহুল।
প্রসঙ্গত, জয় বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকদিন ধরেই বেসুরো ছিলেন অনেকদিনই। এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে বিজেপি (BJP) ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানালেন তিনি। ২ বছর ধরে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও সেভাবে কাজের সুযোগ পাননি। এই মর্মে মোদীকে লেখা চিঠিতে আগাগোড়া নিজের ‘অভিমান’ প্রকাশ করেছেন জয়। জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই বিজেপি ছাড়বেন। তার আগে এই সিদ্ধান্তের কথা তিনি জানালেন মোদীকে।