রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ধান নিলে এবার বাধ্যতামূলকভাবে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি জমা রাখতে হবে রাইস মিলদের

November 6, 2021 | 2 min read

সরকারি উদ্যোগে কেনা ধান ভানিয়ে রাইস মিলগুলি যাতে নির্ধারিত সময়ে চাল দেয় তার জন্য এবারের খরিফ মরশুমে আরও কড়া হচ্ছে খাদ্যদপ্তর। যেকোনও পরিমাণ ধান নিলে এবার বাধ্যতামূলকভাবে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি (Bank Guarantee) জমা রাখতে হবে রাইস মিলদের। পোস্ট ডেটেড চেক (পিডিসি) দিয়ে কাজ করার কোনও সুযোগ নেই। গতবার ৫০০ টন পর্যন্ত ধান নিলে ৩০ লক্ষ টাকার পিডিসি দেওয়ার সুযোগ ছিল। এবার ৫০০ টন ধান নিলেও ১৬ লক্ষ টাকার বিজি জমা দিতে হবে। কোনও রাইস মিল আগের মরশুমে চাল ফেরত দিতে দেরি করলে বিজি-র পরিমাণ বাড়বে। এই ব্যবস্থা এবারই প্রথম চালু করা হচ্ছে। গত খরিফ মরশুমের ধান ভানিয়ে চাল ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে জমা দিলে এবার ৫০০ টনের জন্য ২০ লক্ষ টাকার বিজি দিতে হবে। কোনও রাইস মিল আরও দেরি করলে বা নতুন রাইস মিলকে দিতে হবে ২৫ লক্ষ টাকার বিজি। অতিরিক্ত প্রতি ৩০ টনের জন্য আরও ১ লক্ষ টাকার বিজি দিতে হবে সবাইকেই।

রাইস মিলগুলির চাল না দেওয়ার প্রবণতা, খাদ্যদপ্তর কড়া হওয়ার পর অনেকটা কমেছে। তবে তা সত্ত্বেও কয়েকটি রা‌ইস মিল এবারও ৩১ অক্টোবরের মধ্যে চাল দেয়নি। খাদ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান: ওই তারিখের পর মোট ৫টি মিলের কাছে ৩৯০৯ টন চাল বকেয়া আছে। এর মধ্যে পূর্ব বর্ধমানের একটি রাইস মিলের কাছে বকেয়ার পরিমাণ সবথেকে বেশি (২২৩৬ টন)। বাকি চাল পূর্ব বর্ধমানের আরও একটি এবং বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুরের একটি মিলের কাছে বকেয়া আছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেক জানান, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সরকারকে চাল ফেরত দেওয়া উচিত মিলের। তবে বকেয়া চালের জন্য নভেম্বর মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করার জন্য খাদ্যদপ্তরকে তাঁরা অনুরোধ করেছেন। ওই সময়ের মধ্যে খাদ্যদপ্তর প্রাপ্য চাল পেয়ে যাবে বলে তাঁরা আশা করছেন। রাইস মিল মালিকদের সংগঠন এবারে বিজি-র নতুন ব্যবস্থা নিয়ে কোনও আপত্তি তোলেনি। তাদের বক্তব্য, যেসব রাইস মিল মালিকের আর্থিক সামর্থ্য আছে তারা বিজি দিয়ে সরকারের কাছ থেকে ধান নেবে। তবে ধান ভানানোর জন্য মিলিং চার্জ কুইন্টল প্রতি ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা করার দাবি জানানো হয়েছে। উঠেছে ধান ও চাল নিয়ে যাওয়ার পরিবহণ খরচ বাড়ানোরও দাবি।

বিজি বাধ্যতামূলক করার পর রাইস মিলগুলির তরফে যথাসময়ে চাল ফেরত দেওয়ার প্রবণতা বাড়বে বলেই মনে করছেন খাদ্যদপ্তরের কর্তারা। বিজি জমা দেওয়া হলে সরকারকে আর্থিকভাবে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। চাল না দিলে বিজি-র টাকা বাজেয়াপ্ত হবে। বিজি নিতে ব্যাঙ্কে সমপরিমাণ টাকা জমা রাখতে হয়। পোস্ট ডেটেড চেক দেওয়ার ক্ষেত্রে এই সমস্যা ছিল না। খাদ্যদপ্তর বলেছে, বিজি পরীক্ষা করে দেখা হবে। কোনওরকম গোলমাল পাওয়া গেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট রাইস মিলের বিরুদ্ধে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Rice mill, #Bank Guarantee

আরো দেখুন