রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

কালীপুজোর রাতে শব্দবাজির দাপট এবার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাজ্যে

November 6, 2021 | < 1 min read

অন্যান্যবারের তুলনায় অনেকটাই কম। তবে আদালত ও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশের সঙ্গে রয়ে গেল বিস্তর ফারাক। কিন্তু কালীপুজোয় বাজি ফাটলেও শব্দদানবকে নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে বলে মনে করছে সাধারণ মানুষের একাংশ থেকে শুরু করে প্রশাসন, পর্ষদের কর্তারা। প্রাক-করোনা পর্বের বছরগুলিতে দেখা যেত, দীপাবলিতে সন্ধ্যা নামার কিছু সময়ের মধ্যেই আকাশ ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। ভূরিভূরি অভিযোগে জেরবার হতে হতো দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তাদের। এবার পরিস্থিতি ছিল আলাদা।

এদিন কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে বাজি ফাটলেও তা ছিল অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। রাতের দিকে কিছু অভিযোগ আসতে শুরু করে পর্ষদ ও পুলিসের হেল্পলাইনে। বিস্তর বিতর্ক, মামলা, পাল্টা মামলার পর গত ২৬ অক্টোবর রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এক নির্দেশিকায় জানায়, দীপাবলির রাতে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দু’ঘণ্টা ‘গ্রিন’ বাজি পোড়ানো যাবে। এদিন সময়ের এই সীমা মানা হয়নি একেবারেই। রাত ৮টার আগে থেকেই বাজির শব্দ শোনা গিয়েছে। কিন্তু সেগুলি পরিবেশবান্ধব কি না, তা নিয়ে নিশ্চিতভাবেই সন্দেহের অবকাশ আছে।

কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ছিল কমবেশি একই পরিস্থিতি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর, বারুইপুর, ক্যানিং অঞ্চলে শব্দবাজির দাপট কিছুটা বেশি ছিল বলে জানান সেখানকার একাধিক বাসিন্দা। উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ির চিত্রটাও ছিল প্রায় একই। গত বছরগুলির তুলনায় কম হলেও রাজ্যের অন্যান্য অংশের চেয়ে শিলিগুড়িতে বেশি শব্দবাজি ফেটেছে। এদিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক কর্তা জানান, এবার বাজির দাপট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তখনও পর্যন্ত ১৬টি অভিযোগ নথিভুক্ত করেছেন তাঁরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#sound pollution, #firecrackers, #Kali pujo

আরো দেখুন