চার রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখা কি সম্ভব? রবিবার দিল্লিতে জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠকে বিজেপি
কাল দিল্লিতে বসছে বিজেপির (BJP) জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠক। বছর ঘুরলেই যে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট (Assembly Election) রয়েছে, সে বিষয়ে আলোচনা হবে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ (Uttarpradesh), উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand), গোয়া (Goa) ও মণিপুরে (Manipur) বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। শুধুমাত্র পাঞ্জাবে রয়েছে কংগ্রেস সরকার।
চার রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখা গেরুয়া শিবিরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। আগামী বছর বিধানসভা ভোট হবে বিজেপি শাসিত হিমাচল প্রদেশেও। ওই রাজ্যে সদ্য হয়ে যাওয়া উপনির্বাচনে বড় ধাক্কা খেয়েছে গেরুয়া শিবির। ৩টি বিধানসভা হারানোর পাশাপাশি মান্ডি লোকসভায় কংগ্রেসের কাছে পরাজিত হয়েছে বিজেপি।
বিজেপি সূত্রে খবর, কাল সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে একদিনের বৈঠক। প্রারম্ভিক বক্তৃতা দেবেন সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সমাপ্তি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোভিড পরিস্থিতির কারণে NDMC সেন্টারে আয়োজিত বৈঠকে ১২৪ জন বিজেপি নেতা উপস্থিত থাকবেন। বাকিরা ভার্চুয়ালে যোগ দেবেন ওই বৈঠকে। জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠকে যোগ দিতে আজ দিল্লি পৌঁছেছেন সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই একের পর এক ধাক্কা এসেছে গেরুয়া শিবিরে। এবার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন। বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মর্মে নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি বিজেপির ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে তৃণমূলে যাওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন। তিনি বলেন, মানুষ যে দলের সঙ্গে আছেন, সুযোগ পেলে সেই দলে যোগ দেব। আমার নিরাপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু, কেন তিনি বিজেপি ছাড়ছেন ? এপ্রসঙ্গে জয় বলেন, “যে দল মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, যে দল মানুষের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েও কোনও রকম সংস্কারের পথে না হেঁটে অন্য পার্টির দোষ দিচ্ছে। দেড় লক্ষ ভোট কোনওদিন রিগিং হয় বলে শুনিনি। তাদের কোনও মাথা ব্যথা নেই। আমি শুনেছি যে পার্টি হেরে যায়, তারা আত্মসমালোচনা করে। পরের বার জেতার জন্য তৈরি হয়। আমাদের পার্টিতে সেটা দেখিনি। এমনকী দলের কর্মীরা কী করবেন তাঁদেরও কোনও পথ দেখাতে পারছি না। আমি মানুষ ওরিয়েন্টেড কাজ করি। সিনেমা করেছি, সেটাও মানুষ ওরিয়েন্টেড, রাজনীতি সেটাও মানুষ ওরিয়েন্টেড। এখন বাংলায় মানুষ যে পার্টির সঙ্গে আছে বা যে পার্টি মানুষের সঙ্গে আছে, সুযোগ পেলে সেই পার্টিতে যোগ দেব। তাই আমি বিজেপি ছাড়ছি। এছাড়া আমার কোনও উপায় ছিল না।”