রাজ্য সভাপতির নির্দেশের পরেও পুরভোটের কোর কমিটি গঠন করেনি আলিপুরদুয়ার বিজেপি
বিধানসভা নির্বাচনের পর আলিপুরদুয়ারে গেরুয়া শিবির শীতঘুমে চলে গিয়েছে। দিনহাটা বিধানসভার উপনির্বাচনে দলের ভরাডুবিতে জেলায় পদ্মফুল শিবির যেন আরও কোমায় চলে গিয়েছে। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশের পর ১০ দিন কেটে গিয়েছে।
কিন্তু আলিপুরদুয়ার ও ফালাকাটা পুরসভা ভোটের জন্য জেলায় কোর কমিটি গঠন ও ওয়ার্ড ভিত্তিক দলীয় অবজার্ভার ঠিক হয়নি গেরুয়া শিবিরের। বিজেপির নীচুতলার কর্মীদের অভিযোগ, এই কোর কমিটি ও অবজার্ভার নিয়োগে জেলা নেতৃত্বের কোনও উৎসাহ উদ্দীপনা চোখেই পড়ছে না।
গত ২৭ অক্টোবর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রথম আলিপুরদুয়ার জেলা সফরে আসেন। সুকান্তবাবুর সঙ্গে এসেছিলেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। সংবর্ধনা নিয়ে দলের জেলা পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠকও করেন সুকান্তবাবু। ওই বৈঠকেই ৩ নভেম্বরের মধ্যে জেলার দু’টি পুরসভা ভোটের জন্য একটি কোর কমিটি গঠন ও অবর্জাভার ঠিক করার কথা দলের জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
কিন্তু রাজ্য সভাপতির নির্দেশের পর ১০ দিন কেটে গিয়েছে। আজও পুরভোটের জন্য বিজেপির জেলা নেতৃত্ব কোর কমিটি গঠন ও ওয়ার্ড ভিত্তিক অবর্জাভার ঠিক করতে ব্যর্থ। এই ব্যর্থতার জন্য পদ্মফুল শিবিরের নীচুতলা ক্ষুব্ধ। যদিও দলের জেলা নেতৃত্ব এই ব্যর্থতা মানতে চায়নি।
বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা আহ্বায়ক ভূষণ মোদক বলেন, কোর কমিটি গঠন ও ওয়ার্ড ভিত্তিক অবজার্ভার ঠিক না হওয়া কোনও ব্যর্থতা নয়। আসলে ভাইফোঁটা, কালীপুজো ও দীপাবলি উৎসবের জন্য সকলেই ব্যস্ততার মধ্যে আছেন। দু’একদিনের মধ্যে এই কমিটি গঠন ও অবজার্ভার ঠিক হয়ে যাবে।
দলীয় নেতৃত্ব একথা বললেও দলের কর্মীরা কিন্তু প্রশ্ন তুলছেন দলের রাজ্য সভাপতির নির্দেশ সত্ত্বেও পুরভোটের জন্য কেন দলের এই কমিটি ও ওয়ার্ড ভিত্তিক অবজার্ভার ঠিক হতে এত দেরি হচ্ছে। ক্ষুব্ধ কর্মীদের অভিযোগ, এমনিতেই দল রাজ্যে ক্ষমতায় না আসার জন্য তাঁরা দলীয় কাজে উৎসাহ হারাচ্ছেন। সেখানে পুরভোটের জন্য এই কমিটি ও অবজার্ভার ঠিক হতে দেরির জন্য কর্মীরা পুর ভোট নিয়ে আরও উৎসাহ হারাচ্ছেন।
নাম প্রকাশ করা হবে না এই শর্তে বিজেপি’র জেলা কমিটির এক সদস্য বলেন, জেলা নেতৃত্ব ব্যর্থতা আড়াল করতে উৎসবের ব্যস্ততার অজুহাত দিচ্ছে। আসলে নেতৃত্বের গয়ংগচ্ছ মনোভাবের কারণেই এই কমিটি ও অবজার্ভার ঠিক হতে দেরি হচ্ছে। এই মনোভাব থাকলে বিধানসভার উপনির্বাচনের মতো পুরভোটেও দলের কোনও আশা দেখছি না।