তরুণদের ভোট টানতে হার্দিক- কানহাইয়াদের প্রচারে নামাচ্ছে কংগ্রেস
লক্ষ্য প্রায় পাঁচ কোটি তরুণ ভোটার। তাই উত্তরপ্রদেশের ভোট ময়দানে হার্দিক প্যাটেল, কানহাইয়া কুমার, জিগনেস মেভানির মতো তরুণদের প্রচারে নামাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ২০১৫ সালে গুজরাতে পাটীদার আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে বিজেপি সরকারকে নাকানিচোবানি খাইয়ে দিয়েছিলেন হার্দিক প্যাটেল। তিনি এখন গুজরাতের প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতিও। অন্যদিকে, বিহারের বেগুসরাই থেকে ভোটে লড়ে হেরে গেলেও সিপিআইয়ের তরুণ তুর্কি কানহাইয়া কুমার সম্প্রতি রাহুল গান্ধীর হাত ধরে কংগ্রেসের যোগ দিয়েছেন। সেই হিসেবে গুজরাতের নির্দল বিধায়ক জিগনেস এখনও কংগ্রেসের যোগ দেননি ঠিকই, তবে দলের আদর্শ এবং লক্ষ্যকে সমর্থন করেন। তাই প্রিয়াঙ্কার ডাকে সাড়া দিয়ে এই তিনজনই উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারে নামছেন বলেই এআইসিসি সূত্রে জানা গিয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের দাবি, গত চার বছরে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ তরুণদের সরকারি চাকরি দেওয়া হয়েছে। তরুণদের জন্য চালু হয়েছে অনেক প্রকল্প। যদিও এই তথ্য মানতে নারাজ কংগ্রেস। পাল্টা দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর প্রতিশ্রুতি, উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় এলে পাঁচ বছরে ২০ লক্ষ তরুণের চাকরি। আর এই প্রতিশ্রুতির পারদ চড়াতেই হার্দিকদের মতো তরুণদের নামাচ্ছে কংগ্রেস। নির্বাচনী সভা করে তাঁরা তরুণ প্রজন্মকে কংগ্রেসের পক্ষে ভোট দেওয়ার কথা বলবেন। একইসঙ্গে বোঝাবেন মোদি-যোগীর ডাবল ইঞ্জিন সরকার কীভাবে দেশের ক্ষতি করেছে।
যদিও স্রেফ যোগীই নন, রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপি বিরোধী বৃহত্তর জোট না হলে অখিলেশ যাদব বা জয়ন্ত চৌধুরীদের মতো নেতাদেরও কীভাবে কাউন্টার করা হবে, তা নিয়েও স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে হবে কংগ্রেসকে। কারণ, সমাজবাদী সুপ্রিমো তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব বা রাষ্ট্রীয় লোকদল প্রধান জয়ন্ত চৌধুরীর উত্তরপ্রদেশে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রভাব রয়েছে।