কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

সিএনজি ইঞ্জিন লাগাতে বাস পিছু ভর্তুকির দাবিতে পরিবহণ দপ্তরকে চিঠি বেসরকারি বাস মালিকদের

November 8, 2021 | 2 min read

সিএনজি (কমপ্রেসড ন্যাচরাল গ্যাস) ইঞ্জিন লাগাতে বাস পিছু ভর্তুকির আবেদন করে পরিবহণ মন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বেসরকারি বাস মালিকরা। ক্রমবর্ধমান ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠছে বাস মালিকদের। সম্প্রতি পেট্রলে পাঁচ টাকা এবং ডিজেলে দশ টাকা শুল্ক কমিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তা সত্ত্বেও হাল ফেরেনি বাস মালিকদের। এমন পরিস্থিতিতে বাস ভাড়া বাড়ানো নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তাই বিকল্প পথে ভাড়া কম রেখে বাস পরিষেবায় ডিজেলের বদলে সিএনজি-র ব্যবহার শুরু করার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করেছে রাজ্য সরকার। আগামী ১৭ নভেম্বর এ বিষয়ে পরিবহণ দফতরের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন বাস মালিকরা। ইতিমধ্যে পরিবহণ দফতরের সঙ্গে বেশ কয়েক দফায় আলোচনায় বসে সিএনজি ইঞ্জিন লাগানোর বিষয়ে ইঙ্গিত পেয়েছেন তাঁরা। সেই ইঙ্গিত পেয়েই রাজ্য সরকারের কাছে ভর্তুকির আবেদন করেছেন বাস মালিকরা।

পরিবহণ দফতরের তরফে বাস মালিকদের দু’টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রথমটি ‘ডুয়েল ফুয়েল ইঞ্জিন’ ও দ্বিতীয়টি ‘ডেডিকেটে‌ড সিএনজি ইঞ্জিন’। ‘ডুয়েল ফুয়েল ইঞ্জিন’-এর ক্ষেত্রে বাস ডিজেল ও সিএনজি উভয় দিয়েই চালানো যাবে। আর ‘ডেডিকেটেড সিএনজি ইঞ্জিন’ দিয়ে শুধুমাত্রই সিএনজি চালিত বাসই দিয়ে চালানো যাবে বাসে। বেশির ভাগ বাস মালিকই ‘ডেডিকেটেড সিএনজি ইঞ্জিন’-এর পক্ষে। কারণ এই পদ্ধতিতে কম খরচে বেশি দূরত্বে বাস চালানো যায়। বাস মালিকরা আর ডিজেলের ভরসায় বাস চালাতে নারাজ। একেকটি বাসে সিএনজি-র ইঞ্জিন লাগাতে খরচ হবে দুই থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা। বাস মালিকরা চাইছেন, যেহেতু অতিমারির কারণে তাঁদের আর্থিক অবস্থা বেহাল হয়েছে, তাই নতুন সিএনজি ইঞ্জিন লাগাতে ভর্তুকি দিক রাজ্য সরকার।

সিটি সাবারবান বাস সার্ভিসের সম্পাদক টিটো সাহা বলেন, ‘‘আমরা মূলত ছয়টি দাবি জানিয়েছি। তার মধ্যে একটি দাবিতে সিএনজি ইঞ্জিন লাগাতে সরকারি ভর্তুকির কথা বলা হয়েছে। কারণ খুবই স্পষ্ট। করোনা সংক্রমণের কারণে গত দেড় বছরের বেশি সময় বাস না চালানোয় আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নেই। তাই আমরা সরকারের কাছে আবেদন করেছি। আশাকরি সরকার পক্ষ আমাদের আবেদনে সাড়া দেবে।’’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#private bus service, #Transport department, #CNG

আরো দেখুন