রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

তদন্তে গতি আনতে ২১৬টি স্নিফার ডগ কিনতে উদ্যোগী রাজ্য পুলিশ

November 8, 2021 | 2 min read

প্রযুক্তি বিকল হলেও গোয়েন্দা বিভাগে বড় ভূমিকা পালন করে স্নিফার ডগ। সম্প্রতি গড়িয়াহাটের জোড়া খুন তদন্তেও সেই নজির মিলেছে।  গোয়েন্দারা যখন হার মানতে বাধ্য হয়, তখনই  কাজ শুরু করে স্নিফার ডগ। তবে শুধুমাত্র কলকাতা পুলিশ ও তার আশপাশের কমিশনারেটে থাকলেও রাজ্যের একাধিক জেলায় এই স্নিফার ডগের অভাব রয়েছে।  তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই স্নিফার ডগের প্রয়োজন দেখা দেয়। তাই জেলাতেও একাধিক জায়গায় এবার পৃথক ডগ স্কোয়াড গড়তে চায় রাজ্য পুলিশ। সেই মর্মে দক্ষ কুকুর কিনতে বিজ্ঞাপন দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। রাজ্যজুড়ে মোট ২১৬টি কুকুর কেনার প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য পুলিশ।জানা গিয়েছে, প্রতিটি জেলাতেই কুকুরের ‘কেনেল’ বা আস্তানা তৈরি করা হবে। সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের তরফে এই মর্মে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে নবান্নে। উৎসবের মরসুম কাটতেই কুকুর কেনার অনুমতি মিলবে বলে খবর।

ভবানী ভবনের তরফে নবান্নে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, কমিশনারেট, জেলা পুলিশ ও রেল পুলিশ মিলিয়ে ৩৮টি জায়গায় ডগ স্কোয়াড তৈরি করা হবে। প্রতিটি ডগ স্কোয়াডে থাকবে চারটি সারমেয়। তাদের মধ্যে দু’টি হবে ‘ক্রাইম ট্র্যাকার’, অন্য দু’টি হবে ‘স্নিফার’। বেশি সারমেয় দেওয়া হবে উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে। কারণ ইদানীংকালে মাদক ও নেশার সামগ্রী উত্তরবঙ্গের করিডর দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার হচ্ছে। তাই সেই পাচার আটকাতে দক্ষ সন্ধানী কুকুর। প্রত্যেকটি ডগ স্কোয়াডে থাকবেন একজন করে পশু চিকিৎসক।

ভবানী ভবন সূত্রের খবর, আপাতত রাজ্য পুলিশের হাতে ৬০টি কুকুর আছে। তাদের মধ্যে ১০টি থাকে ব্যারাকপুরে স্বামী বিবেকানন্দ ট্রেনিং সেন্টারে। অন্য কুকুরগুলি আছে বিভিন্ন জেলা, পুলিশ কমিশনারেট এবং রেল পুলিশের হাতে। কোনও জায়গায় দু’টির বেশি কুকুর নেই। নবান্ন প্রস্তাবে সম্মতি দিলে প্রত্যেক জায়গাতেই চার-পাঁচটি কুকুর থাকবে। এতে তদন্তে সুবিধা হবে। মূলত এক থেকে দু’মাসের কুকুরদের ট্রেনিং দিয়ে নিজস্ব ইউনিটে পাঠানো হয়। সেখানেই থাকবে ও তদন্তে সহযোগিতা করবে। পাবে বেতন, যা কুকুরের দেখভালের জন্য ব্যবহার হয়। তবে ল্যাব্রাডার ও জার্মান শেফার্ড গোত্রের কুকুরদের ঘ্রাণশক্তি প্রবল। যা তদন্তে সহযোগিতা করতে পারে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal Police, #Sniffer Dog

আরো দেখুন