আগামী সপ্তাহেই খুলছে স্কুল, ড্রেস রিহার্সাল শুক্রবার
আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুল খুলছে আগামী সপ্তাহে, ১৬ নভেম্বর। তবে চলতি সপ্তাহের শুক্রবারই হতে চলেছে তার ড্রেস রিহার্সাল। ১২ নভেম্বর তৃতীয়, পঞ্চম, অষ্টম এবং দশম শ্রেণির ন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট সার্ভে বা ন্যাস পরীক্ষা। দীর্ঘ প্রায় কুড়ি মাস পরে কচিকাঁচারা হেঁটে বেড়ানোর সুযোগ পাবে চেনা করিডরে। স্যর, দিদিমণি, চেনা ব্ল্যাকবোর্ড, চকের গুঁড়োর পরিবেশে ফিরবে তারা। আর এই সুযোটাই কাজে লাগাতে চাইছে শিক্ষাদপ্তর।
শুক্রবার রাজ্যজুড়ে ৩ হাজার ৫৬টি স্কুলে এই পরীক্ষা হবে। তৃতীয়, পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা দীর্ঘ ২০ মাসে স্কুলে যায়নি। তাদের অনেকেই ১২ নভেম্বর স্কুলে যাবে। দশম শ্রেণির পড়ুয়ারা অবশ্য বছরের শুরুর দিকে মাস দু’য়েক স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। তাই তাদের কাছেও দু’ঘণ্টার পরীক্ষা দেওয়ার এই অভিজ্ঞতা কম রোমাঞ্চকর নয়। কিছু কিছু স্কুল অবশ্য পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। পড়ুয়াদের ডেকে এনে এমসিকিউ ধাঁচে উত্তর লেখানোর প্রশিক্ষণও দিচ্ছে। পরীক্ষার দিন আটটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে স্কুলে আসতে হবে শিক্ষকদেরও।
স্কুলগুলি অবশ্য এই পরীক্ষার আয়োজন নিয়ে এখনও বেশ ধন্ধে। সিলেবাস এক্সপার্ট কমিটির তরফে একটি ভিডিও কনফারেন্সে স্কুলগুলিকে ন্যাসের পরীক্ষার আয়োজন সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে প্রধান শিক্ষকদের বক্তব্য, তারপরও অনেক অস্পষ্টতা থেকে গিয়েছে। জেলাস্তরে সহকারী জেলাশাসকরা (এডিএম) বিষয়টি দেখভাল করছেন। অনেক এডিএম-ই স্কুলগুলিকে বলছেন, আপনারা নিজেদের মতো শ্রেণি পিছু ৩০ জন ছাত্র বাছাই করে পরীক্ষা নিয়ে নিন। আবার অনেকে জোর দিচ্ছেন কেন্দ্রের নির্দেশিকা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার জন্য। তাতে লটারি করে, নির্দিষ্ট ফর্মুলায় পড়ুয়া বেছে নিতে বলা হয়েছে। সর্বশিক্ষা মিশনের রাজ্য প্রকল্প অধিকর্তা অন্তত চারদিন বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে বলেছেন পড়ুয়াদের। অনেক স্কুলেই অবশ্য তা হচ্ছে না। কারণ হিসেবে অনেকে করোনার আতঙ্ক বা পরীক্ষাটি নিয়ে অনীহাকেও দায়ী করছেন। কিছু স্কুলে পড়ুয়া এলেও খুবই হাতেগোনা। উল্টো চিত্রও দেখা যাচ্ছে অনেক স্কুলে। সেখানকার অনলাইন ক্লাসেও এই পরীক্ষা নিয়ে খুঁটিনাটি প্রশ্ন করছেন পড়ুয়ারা।
দক্ষিণ চাতরা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র বলেন, ‘আমরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। তবে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার খুবই কম। সিবিএসই স্কুলের অধ্যক্ষরা পর্যবেক্ষক হিসেবে আসবেন। তাঁরা নিশ্চয়ই কেন্দ্রের নিয়ম পালনে জোর দেবেন। পড়ুয়াদের হাজিরাও দেখবেন। সেক্ষেত্রে কী হবে, জানি না। আমাদের কাছে এখনও পরীক্ষার সব বিষয় স্পষ্ট নয়।’