সমীর ওয়াংখেড়ে কাণ্ডে মঙ্গলবারের মধ্যে নবাব মালিককে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ বম্বে হাইকোর্টের
নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) মুম্বই জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের বাবা জ্ঞানদেবের দায়ের করা মানহানির মামলায় মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিককে হলফনামা জমা দিতে বলল বম্বে হাইকোর্ট। মঙ্গলবারের মধ্যে এনসিপি নেতাকে মতামত জানাতে হবে। বুধবার মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। মুম্বইয়ের প্রমোদতরী কাণ্ডে শাহরুখ-পুত্র গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে সমীরকে নিশানা করেছেন নবাব। এনসিবি অফিসারের ব্যক্তিগত জীবন সংক্রান্ত একের পর এক তথ্য প্রকাশ্যে আনেন তিনি। এমনকী, সমীরের বাবাও নবাবের টার্গেট থেকে বাদ পড়েননি। তবে, যাবতীয় দাবিকে ভুয়ো ও বিকৃত আখ্যা দিয়েছেন বাবা-ছেলে। তাঁর সম্মানহানি করা হচ্ছে দাবি করে বম্বে হাইকোর্টে যান জ্ঞানদেব। নবাবের বিরুদ্ধে তিনি ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার মানহানির মামলা করেন। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে মঙ্গলবারের মধ্যে নবাবকে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়। বিচারপতি মাধব জামদার বলেন, ‘আগামী কালের মধ্যে আপনাকে (নবাব মালিক) হলফনামা দিতে হবে। আপনি যদি টুইটারে জবাব দিতে পারেন, তাহলে এখানেও পারবেন।’ তবে, মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীকে বিতর্কিত মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে কোনওরকম অন্তর্বর্তী নির্দেশিকা জারি হয়নি।
ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এদিনও বোমা ফাটাতে ছাড়েননি নবাব মালিক। টুইটারে তিনি সমীর ওয়াংখেড়ের শালিকার মাদক যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন। সেইসঙ্গে দাবি করেন, ওই সংক্রান্ত মামলাটি এখনও পুনের কোর্টে ঝুলে রয়েছে। এদিন টুইটারে নবাব লেখেন, ‘সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ে, আপনার শালিকা হর্ষদ দীননাথ রেদকার মাদক পাচারে যুক্ত ছিলেন? পুনের আদালতে যেহেতু মামলাটি ঝুলে রয়েছে, তাই আপনাকে জবাব দিতে হবে। এই তার প্রমাণ।’ এরপরেই সেই মামলার একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী।
মালিকের এই নতুন অভিযোগের জবাব দিয়েছেন সমীর। কী করে একজন মহিলার নাম এভাবে প্রকাশ্যে নেওয়া যায়, তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। সমীরের কথায়, ‘সাবাস! প্রিয় বন্ধু। মহিলাদের সম্মান-মর্যাদা রক্ষা করতে আমরা প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করি, ওঁদের নাম প্রকাশ্যে আনি না। আইন লঙ্ঘন হলে নবাব মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ শুধু সমীর নন, এ প্রসঙ্গে এনসিবির এক আধিকারিক বলেছেন, এই মামলাটি সমীর চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগের ঘটনা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আধিকারিকের কথায়, ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে সমীর ইন্ডিয়ান রেভেনিউ সার্ভিসে যোগ দেন। আর তাঁর শালিকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল ওই বছরের জানুয়ারিতে।