টি২০ বিশ্বকাপে ব্যাটিং ব্যর্থতাই হারের মূল কারণ: সুনীল গাওস্কর
টি-২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ লিগ থেকেই বিদায় নিল ভারতীয় দল। শেষ ম্যাচে নামিবিয়ার বিরুদ্ধে সহজ জয় এলেও, তা শধু পরিসংখ্যান হিসেবে থেকে যাবে। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান এবং দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারই কাল হয়ে দাঁড়াল। এই দুই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হারের ফলেই গ্রুপ থেকে ছিটকে যেতে হল ভারতকে।
টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের ব্যর্থতার জন্য ব্যাটিংকেই দায়ী করছেন কিংবদন্তী সুনীল গাওস্কর। তিনি বলেছেন, ‘ভারতীয় দলের টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে দ্রুত বিদায় নেওয়ার কারণ হল, ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে বড় রান করতে পারেননি। পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বোলাররা যেভাবে আমাদের ব্যাটসম্যানদের উপর আধিপত্য বিস্তার করেছেন এবং তাঁদের স্বাভাবিকভাবে খেলতে দেননি, তার ফলেই এই প্রতিযোগিতায় বেশিদূর এগোতে পারল না ভারতীয় দল।’
গাওস্কর আরও বলেছেন, ‘ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে শিশির পড়ার ফলে ব্যাট করা কিছুটা সহজ হয়ে যাচ্ছিল। বোলারদের পক্ষে বল স্পিন করানো সম্ভব হচ্ছিল না। প্রতিটি বলই সোজা ব্যাটে আসছিল। যদিও পরে ব্যাটিং করা সুবিধাজনক হত, প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ১৮০ বা তার বেশি রান করলে বোলারদের হাতে অতিরিক্ত ২০-৩০ রানের পুঁজি থাকত। সেটা কাজে লাগত। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিরুদ্ধে ১১১ রান করলে শিশির পড়লেও কোনও পার্থক্য হয় না। আমরা বড় রান তুলতে পারিনি। সেটাই আমাদের হারের প্রধান কারণ, অন্য কিছু না।’
নামিবিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচই টি-২০ ফর্ম্যাটে জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে বিরাটের শেষ ম্যাচ ছিল। কোচ রবি শাস্ত্রীর মেয়াদও শেষ হল। তবে এখনই দলে বিশাল কোনও বদল আনার পক্ষে নন গাওস্কর। তাঁর মতে, ‘আমার মনে হয় না দলে বড় কোনও বদল পার্থক্য গড়ে দেবে। মানসিকতা বদলাতে হবে, পাওয়ার প্লে ওভারগুলির সুযোগ নিতে হবে, যেটা গত কয়েকটি বিশ্বকাপে করতে পারেনি ভারতীয় দল। প্রথম ৬ ওভারে ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে মাত্র দু’জন ফিল্ডার থাকলেও, গত কয়েকটি আইসিসি প্রতিযোগিতায় তার সুযোগ নিতে পারেনি ভারতীয় দল। ভারত যখনই কোনও শক্তিশালী দলের মুখোমুখি হয়েছে, যাদের ভাল বোলার আছে, তখনই ভারত বড় রান করতে পারেনি। তাই দলে কিছু বদল অবশ্যই দরকার।’
ভারতীয় দলকে সাফল্য পেতে গেলে ফিল্ডিংয়েরও উন্নতি করতে হবে বলে মনে করেন গাওস্কর। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘দলে এমন কয়েকজন খেলোয়াড় থাকা দরকার, যারা অসাধারণ ফিল্ডার। নিউজিল্যান্ড যেভাবে ফিল্ডিং করেছে, রান বাঁচিয়েছে, ক্যাচ নিয়েছে, সেটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’