রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

নদীয়া জেলায় নতুন করে ১২০টি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির লক্ষ্যমাত্রা স্বাস্থ্যদপ্তরের

November 10, 2021 | 2 min read

গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির লক্ষ্যে নদীয়া জেলায় নতুন করে ১২০টি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। কোন ব্লকের কোন পঞ্চায়েত এলাকায় উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি তৈরি হবে তাও নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এছাড়া ওই উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা সাব-সেন্টারগুলির নামকরণ কী হবে তাও চূড়ান্ত হয়েছে। সরকারি এই উদ্যোগে খুশি জেলার প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা। অনেকেই বলেন, এতদিন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি দূরবর্তী এলাকায় ছিল। সেকারণে সামান্য সর্দি, জ্বর, কাশির জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র গিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব ছিল না। এবার বাড়ির কাছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু হলে চিকিৎসা করাতে সুবিধা হবে।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে জেলায় ৪৬৯টি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। নতুন করে কালীগঞ্জ ব্লকে ২৫টি, কল্যাণী ব্লকে ১৪টি, হরিণঘাটা ব্লকে ১২টি, চাকদহ, নাকাশিপাড়া, চাপড়া ও তেহট্ট-১ ব্লকে সাতটি করে, হাঁসখালি ও রানাঘাট-২ ব্লকে একটি করে, করিমপুর-২ ব্লকে চারটি, কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে পাঁচটি, কৃষ্ণনগর-২ ব্লকে তিনটি, নবদ্বীপ ব্লকের আটটি, রানাঘাট-১ ব্লকে ১২টি, শান্তিপুর ব্লকে চারটি, তেহট্ট-২ ব্লকের তিনটি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র করা হবে। 


শান্তিপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক পূজা মৈত্র বলেন, নতুন করে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হলে প্রান্তিক এলাকার সাধারণ মানুষ সরকারের স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন। তাছাড়া বর্তমানে চালু থাকা উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির উপর চাপ অনেকটাই কমবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় এতদিন বেশ কিছু উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভাড়াবাড়িতে চলছিল। এজন্য প্রতিবছর ভাড়া হিসেবে সরকারকে মোটা টাকা গুণতে হয়। তবে নতুন উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির পাশাপাশি পুরনো উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে কর্মসাথী, কর্মতীর্থ বা কিষান মান্ডির মতো সরকারি বিল্ডিংয়ের ফাঁকা জায়গায় সরিয়ে আনারও পরিকল্পনা হয়েছে। এতে ভাড়া বাবদ সরকারি টাকা অনেকটাই বাঁচানো যাবে। আপাতত কোথায় কোন স্বাস্থ্যকেন্দ্র সরানো হবে সেই সংক্রান্ত সার্ভে শুরু হয়েছে। 


আরও জানা গিয়েছে, উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় মানুষজনের জনস্বাস্থ্য কর্মসূচি রূপায়ণ ও টিকাকরণ হয়। এছাড়াও সাব সেন্টার থেকে জ্বর, সর্দি, কাশির প্রাথমিক পর্যায়ের ওষুধ দেওয়া হয়। তারপর রোগীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রেফার করা হয়। এছাড়া প্রতি এক হাজার জনসংখ্যা পিছু একজন আশাকর্মী থাকার কথা। বর্তমানে আশাকর্মীর সংখ্যাও অনেক কম। সব মিলিয়ে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর চাপ বাড়ছে। চিকিৎসকরা বলেন, প্রতি পাঁচ হাজার জনসংখ্যা পিছু একটি করে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র বা সাব-সেন্টার থাকার কথা। কিন্তু জেলায় এমন অনেক উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে যেখানে প্রায় ২০হাজার জন মানুষ তার উপর নির্ভরশীল। ফলে রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত আগামী দিনে গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি ঘটাবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Shantipur, #Nadia, #Health Centre

আরো দেখুন