খুলছে স্কুল, আগামী সোমবার সকাল থেকেই বাড়ছে মেট্রো রেলের সংখ্যা
আগামী সোমবার থেকে বাড়ছে মেট্রো রেলের সংখ্যা। বাড়ছে মেট্রো রেলের সময়সীমাও। এতদিন পর্যন্ত সকাল সাড়ে সাতটা থেকে মেট্রো পরিষেবা চালু হত। সোমবার থেকে সকালে সাড়ে সাতটা পরিবর্তে আরও আধ ঘণ্টা আগে, অর্থাৎ সকাল সাতটা থেকেই মিলবে মেট্রো পরিষেবা। মোট ছয়টি অতিরিক্ত মেট্রো রেল পরিষেবা পাওয়া যাবে সোমবার থেকে।
আগামী সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে স্কুল ও কলেজগুলি খুলে যাচ্ছে। ফলে পড়ুয়াদের যাতে স্কুলে বা কলেজে যাতায়াতের সময় কোনও সমস্যা না হয়, সেই কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। স্কুল ও কলেজগুলি চালু হয়ে গেলে মেট্রোতে যাত্রী সংখ্যাও এক ধাক্কায় বেশ কিছুটা বাড়তে পারে বলে অনুমান করছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। আর সেই সময় পড়ুয়াদের এবং অন্যান্য যাত্রীদের যাতে সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়া যায়, সেই কথা মাথায় রেখেই অতিরিক্ত তিন জোড়া মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত নেওা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে এর আগেও একাধিকবার মেট্রো রেলের পরিষেবা বাড়াতে দেখা গিয়েছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। বিশেষ করে দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজোর মতো উৎসবের দিনগুলিতে যাত্রীদের ভিড় সামাল দিতে বাড়তি পরিষেবা চালু রেখেছিল কলকাতা মেট্রো। আর এবার স্কুল, কলেজ খোলার মুখে আরও একবার যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে ফের অতিরিক্ত পরিষেবা চালু করছে কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর রবিবাসরীয় সকালে গীতা পাঠের মধ্যে দিয়ে চিরবিদায় জানানো হয়েছে নন-এসি রেককে। কলকাতা মেট্রোর ৩৭তম প্রতিষ্ঠা দিবসে এভাবেই চিরবিদায় জানানো হয়েছিল নর্থ-সাউথ করিডরে দীর্ঘদিন পরিষেবা দেওয়া শেষ নন-এসি রেকটিকে। এই উপলক্ষে সেদিন মহানায়ক উত্তম কুমার মেট্রো স্টেশন বা টালিগঞ্জে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বাতিল হতে চলা নন-এসি রেকের মধ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এর আগে দুর্গা পুজোর কয়েকদিন মেট্রোয় সময়সীমাতেও ছাড় দেওয়া হয়েছিল। দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর, কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর, দমদম থেকে কবি সুভাষ এবং দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষের মধ্যে প্রথম মেট্রো পরিষেবা সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়। দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত শেষ মেট্রো ছাড়ে রাত ১০.৪৮-এ। দমদম থেকে কবি সুভাষ এবং কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর রাত ১১টায় শেষ মেট্রো পরিষেবা দেওয়া হয়েছিল।
তবে পুজোর সময়ও টোকেন পরিষেবা চালু হয়নি। কিনতে হয়েছে স্মার্ট কার্ড। এমন অনেক যাত্রী মেট্রোয় যাতায়াত করেছেন, যাঁরা নিয়মিত মেট্রোয় যান না। ফলে তাঁদের কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত ৬ লক্ষ স্মার্ট কার্ড রাখা হয়েছিল।