কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিষেকের আপ্ত সহায়ককে গ্রেপ্তার নয়, নির্দেশ হাইকোর্টের
সূত্রের খবর, আইনমন্ত্রীর বয়ান রেকর্ড করেছেন ইডি’র আধিকারিকরা। তারপর থেকেই অভিষেকের আপ্ত সহায়ককে টানাটানি করা হচ্ছে।
কয়লাকাণ্ড নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় সংস্থা বনাম বাংলার নেতা–মন্ত্রীদের দ্বৈরথ চলছে তখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়। কারণ কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে ৬ সপ্তাহের রক্ষাকবচ দিয়েছে। সুতরাং এখন সুমিতকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। সম্প্রতি সুমিতকে দু’বার তলব করেছিল ইডি।
দেখা গিয়েছিল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নয়াদিল্লিতে ডেকে ৯ ঘন্টা টানা জেরা করেছিল। একাধিকবার রাজ্য মন্ত্রিসভার আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তিনিও নয়াদিল্লিতে ইডি’র দফতরে হাজিরা দেন। সূত্রের খবর, আইনমন্ত্রীর বয়ান রেকর্ড করেছেন ইডি’র আধিকারিকরা। তারপর থেকেই অভিষেকের আপ্ত সহায়ককে টানাটানি করা হচ্ছে।|
অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে নিয়ে যখন তদন্ত এগোতে চাইছে ইডি তখন ইডি’র সমনে স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। তাতে স্বস্তি পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর আপ্ত সহায়ককে ধরে বিষয়টির গভীরে যেতে চাইছেন ইডি’র আধিকারিকরা। যদিও তিনি আগেই জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
উল্লেখ্য, কয়লা পাচারকাণ্ডে অনুপ মাজি ওরফে লালার হিসাবরক্ষকের বিরুদ্ধে জারি হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধেও জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে পাতিয়ালা হাউজ কোর্ট। রাজ্যের উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তা জ্ঞানবন্ত সিংকেও এই মামলায় তলব করা হয়েছিল নয়াদিল্লিতে। তবে আজ আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, সুমিতকে এখনই গ্রেপ্তার করা যাবে না।