অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগে ত্রিপুরায় প্রচারে যাচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম
আগরতলা পুরভোটের প্রচারের শেষ লগ্নে অমিত শাহের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বৈরথ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ত্রিপুরায়। আগামী ২২ নভেম্বর পুরভোটের শেষ লগ্নের প্রচারে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ত্রিপুরা সফর হওয়ার কথা রয়েছে। আর সেই দিনই আগরতলায় প্রচারে আসার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Abhishek Banerjee Amit Shah Duel in Tripura)৷ যদিও তার আগে ২০ নভেম্বর আগরতলায় প্রচারে যাচ্ছেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফলে তৃণমূল-বিজেপি যুদ্ধে সরগরম ত্রিপুরার রাজধানী।
ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার পুর নির্বাচনে তৃণমূলের অবজার্ভার নিয়োগ করা হয়েছে লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহাকে। ত্রিপুরার আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের আগে গত মঙ্গলবার রাজ্যের তৃণমূল কমিটির তরফ থেকে অভিজিৎ সিনহার নাম বেছে নেওয়া হয়। অভিজিৎ সিনহাকে অবজার্ভার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ত্রিপুরার খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া পৌরসভার।
ত্রিপুরায় বার বার বাধার মুখে পড়েছেন বাংলার তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। এমনকী পুরভোটে দাঁড়ানো দলের এক প্রার্থীর বাড়িতে BJP আশ্রিত দুস্কৃতীরা চড়াও হয়ে ভাঙচুরও চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে এ রাজ্যের শাসক দলের। বিপ্লব দেব (Biplab Deb) সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দিনের পর দিন এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন কিছুই করেনি। বরং আরও মারাত্মক হিংসার মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। আর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবারই শীর্ষ আদালত এ বিষয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ভোটের আগে সবক’টা রাজনৈতিক দল যাতে শান্তিতে এবং নির্বিঘ্নে প্রচারকার্য সম্পন্ন করতে পারে তা দেখতে হবে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারকেই। বলা বাহুল্য, এই নির্দেশের ফলে বিপ্লব দেব সরকারের বিড়ম্বনা বেড়েছে।
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ভোট যদি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়, তাহলে আগরতলা পুরসভা দখল করে নিতে পারবে তাঁরা। বিজেপি অবশ্য প্রকাশ্যে তৃণমূলকে কোনও রকম গুরুত্ব দিতে নারাজ। তবে, বিগত কয়েক মাসে গোটা ত্রিপুরাজুড়েই তৃণমূল যে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছে, এ কথা নিশ্চিত বলেই মানছে রাজনৈতিক মহল। এই পরিস্থিতিতে ফিরহাদ-অভিষেকদের সফর আরও পারদ চড়াবে আগরতলায়।