আজ থেকে শুরু হচ্ছে দার্জিলিং-কার্শিয়াং রুটে ‘হিমকন্যা’ টয় ট্রেন পরিষেবা
জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হেরিটেজ টয় ট্রেনের পরিষেবার বহর বাড়ছে। আজ, শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে দার্জিলিং-কার্শিয়াং স্টেশনের মধ্যে টয় ট্রেনের নতুন পরিষেবা। পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এখন থেকে প্রতি সপ্তাহের শনি ও রবিবার দার্জিলিং-কার্শিয়াংয়ের মধ্যে চলবে ‘হিমকন্যা’ টয় ট্রেন।
নতুন পরিষেবা চালু করা হলেও এনজেপি- দার্জিলিংয়ের মধ্যে সম্পূর্ণ রুটে টয় ট্রেন পরিষেবা এখনও বন্ধ। চালু হয়নি শিলিগুড়ি জংশন-রংটংয়ের মধ্যে জঙ্গল টি সাফারি। উল্লেখ্য, রেলের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, জঙ্গল টি সফারি বন্ধ থাকছে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের (ডিএইচআর) ডিরেক্টর অরবিন্দকুমার শর্মা শুক্রবার বলেন, সম্প্রতি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে শিলিগুড়ি থেকে রংটংয়ের মধ্যে ৪৫ নম্বর সেতুটির ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেটি মেরামতি চলছে। আশা করা যাচ্ছে, ১৬ নভেম্বরের মধ্যে মেরামতের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপর জঙ্গল টি সাফারি চালু করা যাবে। গতমাসে প্রবল বৃষ্টিতে ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নেমে লাইনের বহু জায়গা এখনও আটকে রয়েছে। সেই ধস সরিয়ে লাইন পরিষ্কার হওয়ার পরেই এনজেপি-দার্জিলিংয়ের মধ্যে ফের টয় ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
কিন্তু, এ জন্য পাহাড়ে ট্রয় ট্রেনের জয়রাইড পরিষেবায় কোনও বিঘ্ন ঘটেনি। বরং পর্যটকদের চাহিদা যেভাবে বাড়ছে, তাতে আগামীতে জয় রাইডের সংখ্যা বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এদিকে, এবার পুজোর পর্যটন মরশুমে দার্জিলিংয়ে পর্যটকের ঢল নামায় স্বল্প দূরত্বে টয় ট্রেনের জয় রাইডের বিপুল চাহিদা রয়েছে। সেকথা মাথায় রেখেই এবার দার্জিলিং থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত টয় ট্রেনের হিমকন্যা চালু করা হচ্ছে বলে জানান ডিএইচআর ডিরেক্টর। ডিজেল ইঞ্জিনে টয় ট্রেনের হিমকন্যা শনি ও রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় দার্জিলিং স্টেশন থেকে ছাড়বে। কার্শিয়াং পৌঁছবে সকাল ১১টায়। পরে কার্শিয়াং থেকে ট্রেনটি আবার বেলা সোয়া ১টায় ছেড়ে দার্জিলিংয়ে পৌঁছবে বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে। বহু পর্যটক রয়েছেন, যাঁরা দার্জিলিংয়ের এসে আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখতে চান। সেক্ষেত্রে টয় ট্রেনের পরিষেবার বহর বৃদ্ধি করা হলে পর্যটকরা দার্জিলিং থেকে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি হেরিটেজ টয় ট্রেনে চড়াও হবে পর্যটকদের। এরকম চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়েই এবার হিমকন্যা চালু করা হল। এর ভাড়া ঠিক হয়েছে পর্যটন মরশুমে জনপ্রতি ১২০০ টাকা। অন্যসময়ে ১০০০ টাকা।
ডিএইচআর ডিরেক্টর বলেন, এবার পর্যটন মরশুমে যেভাবে পাহাড়ে পর্যটকের ঢল নেমেছে এবং টয় ট্রেনের প্রতি পর্যটকদের নতুন করে যে উৎসাহ উন্মাদনা দেখা দিয়েছে, তাতে টয় ট্রেনের ব্যবসা ভালোই হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এই জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে আগামী দিনে টয় ট্রেনের পরিষেবাকে আরও প্রসারিত করা যাবে।