৩০ নভেম্বরের মধ্যে হিমঘর থেকে আলু বের করে খালি করতে হবে, নির্দেশিকা জারি
চলতি মাসের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সারা রাজ্যের হিমঘরগুলি থেকে আলু বের করে খালি করতে হবে। এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতর। সরকারি এই নির্দেশিকার পর থেকেই চরম ঘুম ছুটেছে সারা রাজ্যের আলু চাষি থেকে সংরক্ষণকারী ও ব্যবসায়ীদের। সরকারের বেধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে হিমঘরে মজুত বিপুল পরিমাণে সংরক্ষিত আলু কোনও ভাবেই বের করা সম্ভব নয় বলেও দাবি করা হয়েছে ব্যবসায়ী, সংরক্ষণকারী ও কৃষকদের তরফে।
চরম ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে সরকারের কাছে হিমঘরে সংরক্ষিত আলু রাখার সময় বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন তারা। কিন্তু যে হারে আলুর দাম লাগামছাড়া, তাতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
গত বছর আলুর অত্যধিক দাম এবং আলু চাষের অনুকূল আবহাওয়ার কারণে চলতি বছরে সর্বকালের রেকর্ড ছাপিয়ে আলুর উৎপাদন হয়েছে সারা রাজ্যে। যেমন রেকর্ড উৎপাদন তেমনি রেকর্ড আলু সংরক্ষিত হয়েছে হিমঘরে।
জানা গিয়েছে , চলতি বছরে সারা রাজ্যে সাড়ে ৪০০’র অধিক হিমঘরে প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি বস্তা আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে।
গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যের হিমঘরগুলি থেকে মোট সংরক্ষিত আলুর সাড়ে ৯ কোটির বেশি বস্তা আলু খালি হয়েছে। হিসেব অনুযায়ী গড়ে প্রায় ৬৭% আলু সারা রাজ্যের হিমঘর গুলি থেকে বের করা হয়েছে। নভেম্বরের দোরগোড়ায় এখন সারা রাজ্যের পাশাপাশি হিমঘরে মজুত সংরক্ষিত আলুর পরিমাণ প্রায় ৩৩%।
চলতি মাসের শেষে হিমঘরগুলি থেকে আরও ১২-১৫ শতাংশ আলু খালি হবে বলে অনুমান। তবুও ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হিমঘরে মজুত থেকে যাবে ১৮-২১ শতাংশ আলু।
যদিও সরকারি নির্দেশ আসার পর থেকে হিমঘর কর্তৃপক্ষও হিমঘরে মজুত আলু বের করে নেওয়ার জন্য আলু চাষি, সংরক্ষণকারী ও ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছে।