রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

অনাথ শিশুদের রসগোল্লা খাইয়ে ‘রসগোল্লা দিবস’ পালন করবে মিষ্টি উদ্যোগ

November 13, 2021 | 2 min read

প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই শেষে রসগোল্লার ‘জিআই’ স্বীকৃতি পায় বাংলা।

‘জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনস’ তকমা পাওয়ার সেই দিনটি ছিল ১৪ নভেম্বর। ওই দিনটিকে রসগোল্লা দিবস হিসেবে পালন করা হয় এরাজ্যে। এদিন শিশুদিবসও বটে। তাই আগামীকাল রবিবার শিশুদের রসগোল্লা খাইয়েই দিনটির উদযাপন করতে চান মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা। অনাথ শিশুদের মুখে মিষ্টি তুলে দেওয়ার আনন্দেই টইটুম্বুর হতে চান তাঁরা। শুধু কলকাতাই নয়, জেলায় জেলায় এই আয়োজন করা হচ্ছে বিভিন্ন মিষ্টির দোকানের তরফে। 


রসগোল্লা দিবস পালন করার মূল উদ্যোগ নিয়েছে মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠানগুলির সংগঠন ‘মিষ্টি উদ্যোগ’। এই সংগঠনের সদস্যরা আগামীকাল অনাথ আশ্রমের শিশুদের মিষ্টিমুখ করাবেন একেবারে বিনামূল্যে। একই উদ্যোগ থাকছে কলকাতাতেও। তবে সেখানে রীতিমতো অনুষ্ঠান করে উৎসবে মাততে চান মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা। এই সংগঠনের সভাপতি ধীমান দাশ বলেন, এবার চতুর্থ বর্ষপূর্তি হচ্ছে বাংলার রসগোল্লার জিআই প্রাপ্তির। উত্তর কলকাতায় আমরা একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। গিরিশ অ্যাভিনিউ এবং রাজা রাজবল্লভ স্ট্রিটের সংযোগস্থলে গৌরীমাতা উদ্যানে দুপুরে হাজির হবেন রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা সহ অনেক বিশিষ্ট নাগরিক। শুধু কলকাতা নয়, জেলা থেকেও অসংখ্য মিষ্টি ব্যবসায়ী ও রসগোল্লাপ্রেমী মানুষ হাজির হবেন সেখানে। যেহেতু এদিন শিশুদিবস, তাই শিশুরাই সেখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অতিথি। তাদের নাচ-গানই মূল আষকর্ষণ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সেখানে চলবে মিষ্টিমুখ। অন্তত ১০ হাজার রসগোল্লা বিতরণ করা হবে সেই অনুষ্ঠানে, জানিয়েছেন ধীমানবাবু। 


রসগোল্লা ছানা আর রসের রসায়ন। কিন্তু তাকে ‘আধুনিক’ করতে অনেকেই বদলে ফেলেছেন তার বর্ণ-গন্ধ। কোথাও রসগোল্লায় কাঁচালঙ্কার ঝাল, তো কোথাও ব্ল্যাক কারেন্টের উজ্জ্বলতা। তুলসী, আম, লিচু— নানা মিশেলে সেজেছে রসগোল্লা। সেইসব ‘ভ্যারাইটি’ এই বিশেষ দিনে দোকানে রাখতে চান ব্যবসায়ীরা। যেহেতু মিষ্টির রেশ জিইয়ে রেখেই মজা, তাই আগামী একসপ্তাহ ধরেই সেসব নতুন ধারার রসগোল্লা বিক্রি করবেন মিষ্টি উদ্যোগের আওতায় থাকা দোকানিরা। 


বাংলার রসগোল্লা জিআই পেয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই স্বীকৃতি ব্যবহারকারীর সংখ্যা একশো পেরোয়নি রাজ্যে। বাংলায় কয়েক হাজার মিষ্টির দোকান থাকলেও, অনেক দোকানিই সেই স্বীকৃতি পেতে উৎসাহী নন। সচেতনতা ও প্রচারের অভাব এক্ষেত্রে অনেকটাই দাবি, বলছে সংশ্লিষ্ট মহল। রাজ্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তর বছর দুই আগে মিষ্টির  দোকানিদের জিআই স্বীকৃতি দেওয়ার কাজে মাঠে নামে। সরকারি কর্তারা জেলায় জেলায় বেশ কয়েকটি দোকানে আবেদনপত্র পূরণ করান। তাদের কয়েকটি দোকান ‘বাংলার রসগোল্লা’ জিআই তকমা লাগানো মিষ্টি বিক্রি করার অনুমতি পেয়েছে। কিন্তু এরপর আর কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি রাজ্য সরকারের তরফে। দপ্তরের কর্তারা বলছেন, করোনা তার অন্যতম কারণ। সংক্রমণ কমলে সরকার যদি আবারও স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ নেয়, তাহলে আরও জনপ্রিয় হবে রসগোল্লা, বলছেন ব্যবসায়ীরা। সেক্ষেত্রে মিষ্টিপ্রেমীদের কাজে রসগোল্লার গুণমানও ধরে রাখা যাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তাঁরা।  

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #mishti udyog, #Childrens Day, #Rosogolla Dibos

আরো দেখুন