দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

উন্নত প্রযুক্তির তাঁত স্থাপন বাংলায়, আশার আলো দেখছেন মেদিনীপুরের তাঁত শিল্পীরা

November 13, 2021 | 2 min read

উন্নত প্রযুক্তির তাঁত স্থাপনে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে আশার আলো দেখছেন পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) অমর্ষি ও মুগবেড়িয়া সহ জেলার অন্যান্য জায়গায় তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা। একসময় জেলার অমর্ষি ও মুগবেড়িয়ার তাঁত শাড়ির কদর জেলা ছাড়িয়ে অন্য জেলাতেও ছিল৷ শাড়ির পাশাপাশি গামছা ও ধুতি তৈরি হত৷ মিলের শাড়ি, ধুতি বাজার দখল করায় ধীরে ধীরে জেলার তাঁত (handloom) হারিয়ে যেতে বসেছে। আধুনিক প্রযুক্তির অভাব বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় তাঁত শিল্পীদের কাছে। অনেকে এই কাজ ছেড়ে বাধ্য হয়ে বিকল্প কর্মসংস্থানের দিকে ঝুঁকে পড়ে৷ রাজ্য সরকার সম্প্রতি সারা রাজ্যে দুই হাজার পাঁচশো উন্নত প্রযুক্তির তাঁত স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আশার আলো দেখছেন এই শিল্পের সঙ্গে থেকে যাওয়া শিল্পীরা (weavers)৷


তাঁত শিল্পের উন্নয়নে সরকার চেষ্টা চালালেও সঠিক ভাবে কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁত শিল্পের (handloom) সঙ্গে যুক্ত থাকা মানুষেরা ৷
কাঁথি সহ বিভিন্ন জায়গায় বছরে একবার সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তাঁত মেলার আয়োজন হয়। সেখানে অংশ নিলে সরকার থেকে অনুদান পাওয়া যায়। নিজেদের তৈরী করা সামগ্রী বিক্রি ও প্রদর্শনের সুযোগ পান তাঁত শিল্পীরা (weavers) অভিযোগ সরকারি অনুদান সব তাঁত শিল্পী পায় না৷ কোন অজ্ঞাত কারণে কতিপয় তাঁত সমিতি সেই অনুদান হস্তগত করে৷ তাঁত শিল্পের উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রির জন্য সরকারি বিপনন কেন্দ্র তন্তুজ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। স্টক এবং সময়োপযোগী কাপড় না থাকায় একসময় সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করা তন্তুজের এখন এই হাল৷ সামগ্রিক পরিকল্পনার অভাবে তাঁত শিল্পের প্রকৃত উন্নতি সম্ভব হয়নি। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ নষ্ট হয়েছে বা হচ্ছে।

কাঁথি শহরের সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের কাছে পুরানো ফায়ার বিগ্রেড স্টেশনে প্রায় ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে প্রস্তাবিত স্থায়ী তাঁতের হাটের কাজ পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ঢিলেমিতে এখনও অসমাপ্ত থেকে গেছে বলে অভিযোগ৷ তাঁতের হাট নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করতে পারলে কাঁথি ও এগরা মহকুমা জুড়ে উন্নত প্রযুক্তির তাঁতের (handloom) মাধ্যমে উৎপাদিত বস্ত্র সামগ্রী বাজারজাত করার পরিকাঠামো উন্নত হতো।


দেশপ্রাণ ব্লক কার্যালয়ের অনতিদূরে সোফিয়াবাদ-ঢোলমারী এলাকায় ভূমি দপ্তরের অফিসের জন্য নির্মিত ভবন অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে৷ কাঁথির তাঁতের হাটের সহযোগী হিসাবে সেখানেও একটি তাঁতের হাট তৈরী করার আবেদন জানিয়ে রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং বস্ত্র দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রকান্ত সিনহা, মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি জেলাশাসক ও জেলার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্মাধ্যক্ষ অনুরাধা নন্দ গোস্বামীকে আবেদন জানিয়েছেন প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন।


তাঁত শিল্পের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত তাঁত শিল্পীরা  (weavers) জানান, বস্ত্র ও কুটির শিল্পের অফিস প্রায় প্রত্যেক মহকুমায় আছে৷ কর্মীদের কোন কাজ নেই বেতন নেওয়া ছাড়া তাঁত মেলা হলে কর্মীরা নড়েচড়ে বসে নাহলে অফিস আছে বলে বোঝা যায় না৷ অথচ এই সব কর্মীরা উদ্যোগী হলে তাঁত শিল্পের উন্নয়নে সরকারের চেষ্টা সফল হত।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Taant shilpo, #West Bengal, #purba medinipur

আরো দেখুন