লাখিমপুর খেরি ঘটনায় যোগী সরকারের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্টের একের পর এক ভর্ৎসনাতেও হুঁশ নেই যোগী সরকারের। লখিমপুর খেরিতে কৃষক হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ঢিলেঢালা মনোভাব অব্যাহতই। এমনকী, তদন্তে তদারকির জন্য অবসরপ্রাপ্ত দুই বিচারপতি নিয়োগেও যোগী সরকার গড়িমসি করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার ফের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে সময় চেয়ে আবেদন করেছে রাজ্য সরকার। তার প্রেক্ষিতে আরও একবার ক্ষোভ প্রকাশ করে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামনার বেঞ্চ। আগামী সোমবার, অর্থাৎ ১৫ নভেম্বর অবসরপ্রাপ্ত দুই বিচারপতি নিয়োগে যোগী সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে।
গত ৮ নভেম্বর লখিমপুর খেরি-কাণ্ডের তদন্তে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল শীর্ষ আদালত। ‘ভরসার জায়গা’টা নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে বলেও যোগী সরকারকে কড়া কথা শুনিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। সেই সঙ্গে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত দুই বিচারপতিকে নিয়োগের পরামর্শও দিয়েছিলেন তিনি। সেক্ষেত্রে আদালত দু’জনের নাম প্রস্তাব করে। পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের বিচারপতি রঞ্জিত সিং এবং রাকেশ কুমার জৈনকে নিয়োগের কথা বলা হয়। ফৌজদারি আইন-কানুন সম্পর্কে রঞ্জিত সিংয়ের বুৎপত্তি যথেষ্ট। তা ছাড়া সেনাবাহিনীতে কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর। ফলে রোজদিন তদন্তের গতিপ্রকৃতি তদারকিতে রঞ্জিত সিং যথার্থ ব্যক্তি বলে মনে করেছিল আদালত। কিন্তু চারদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও যোগী সরকার সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ মেনে দু’জন বিচারপতির কাউকেই নিয়োগে আগ্রহ দেখায়নি।
এদিন তা নিয়েও ফের অসন্তোষ প্রকাশ করেছে প্রধান বিচাপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। উত্তরপ্রদেশ সরকারের হয়ে সওয়াল করেছিলেন সিনিয়র আইনজীবী হরিশ সালভে। পরামর্শ অনুযায়ী বিচারপতি নিয়োগের অগ্রগতি সম্পর্কে তাঁর কাছে জানতে চান বেঞ্চের বিচারপতিরা। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও ওই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি হিমা কোহলি। জবাবে সালভে বলেন, ‘আমাকে সোমবার (১৫ নভেম্বর) পর্যন্ত সময় দেওয়া হোক। এ ব্যাপারে আমরা বেশকিছু কাজ প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছি।’ তাঁর এই আর্জি মেনে নিয়েছেন বিচারপতিরা। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি।