সিবিআই, ইডি-র প্রধানদের মেয়াদ বাড়ছে কেন্দ্রের অধ্যাদেশে, নিন্দায় বিরোধীরা
দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তার মেয়াদ বাড়াতে উদ্যোগী হল কেন্দ্রীয় সরকার। সিবিআই ও ইডির ডিরেক্টদের মেয়াদ দু’বছর থেকে বেড়ে হতে চলেছে পাঁচ বছর। রবিবার এক অধ্যাদেশ জারি করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সম্প্রতি ইডি-র ডিরেক্টর সঞ্জয়কুমার মিশ্রের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সঞ্জয়ের মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না, তা নিয়ে চলছিল জল্পনা। তারই মধ্যে কেন্দ্র এই অধ্যাদেশ আনায় মনে করা হচ্ছে সঞ্জয়ের কার্যকাল বেড়ে যেতে পারে।
বেশ কিছু দিন ধরেই নীরব মোদী, মেহুল চোকসি, বিজয় মাল্যকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। পশ্চিমবঙ্গের সারদা-নারদ থেকে কয়লা-কাণ্ড নিয়েও সক্রিয় ইডি। কংগ্রেস-সহ প্রায় সমস্ত বিরোধী নেতার বিরুদ্ধেই তদন্ত চলছে। এই পরিস্থিতিতে ইডি-র ডিরেক্টরের পদে সঞ্জয়কে রাখতে সচেষ্ট ছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
বিরোধীদের বিরুদ্ধে আইনের অপব্যবহার করার জন্য সিবিআই ও ইডির ডিরেক্টদের মেয়াদ দু’বছর থেকে পাঁচ বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে টুইটে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভায় সদস্য জওহর সরকার।
২০১৮-য় ইডি-র ডিরেক্টর পদে দু’বছরের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল সঞ্জয়কে। গত বছর তাঁর মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়। তার জন্য ২০১৮-র নিয়োগের পুরনো নির্দেশিকায় সংশোধন করে দু’বছরের জন্য নিয়োগকে তিন বছর করা হয়। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলাও হয়। সম্প্রতি সেই মামলার শুনানিতে সরকারের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলা হয়, গুরুত্বপূর্ণ তদন্ত শেষ করতেই মিশ্রর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এর পরে সুপ্রিম কোর্ট তদন্ত শেষ করার স্বার্থে অবসরের পরেও যুক্তিসঙ্গত সময়ের জন্য মেয়াদ বাড়ানো যেতেই পারে বলে রায় দেয়। একই সঙ্গে জানায়, এর পর আর মেয়াদ বাড়ানো যাবে না। এ বার অধ্যাদেশ এনে মেয়াদ বাড়ানোর ফলে সঞ্জয় ওই পদে আরও দু’বছর থাকতে পারবেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সঞ্জয়ের মেয়াদ ফের বাড়ানো হবে কি না, তা নিয়ে মোদী সরকারের অন্দরমহলে আলোচনা শুরু হয়েছিল। এর পরই এই অধ্যাদেশ।