কঙ্গনার পদ্মশ্রী ফিরিয়ে নিতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিল দিল্লি মহিলা কমিশন
কঙ্গনা রানাওয়াতের ‘ভিক্ষার স্বাধীনতা’ মন্তব্যে নয়া মোড়। দেশের তামাম বিরোধী থেকে সমালোচক আগেই তাঁর পদ্মশ্রী কেড়ে নেওয়ার দাবি তুলেছিল। এবার বিজেপি ঘনিষ্ঠ বিতর্কিত অভিনেত্রীর অস্বস্তি বাড়াল দিল্লি মহিলা কমিশন। রবিবার রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে কঙ্গনাকে দেওয়া পদ্ম সম্মান ফিরিয়ে নেওয়ার আর্জি জানালেন কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল। একইসঙ্গে তিনি অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলার দায়ের করার দাবিও তুলেছেন।
১৯৪৭ সালের স্বাধীনতাকে ‘ভিক্ষাবৃত্তি’ আখ্যা দিয়েছেন কঙ্গনা। তাঁর মন্তব্যকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মানতে নারাজ দিল্লি মহিলা কমিশন। রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে তাই মালিওয়াল স্পষ্ট লিখেছেন, ‘অভিনেত্রী মানসিকভাবে সুস্থ নন। উনি প্রায়ই নিজের দেশবাসীর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন। যাঁরা তাঁর সঙ্গে সহমত নন, তাঁদের অভব্য ভাষায় আক্রমণ করতেও পিছ পা হন না।’ কঙ্গনার সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল’ আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রপতিকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন তিনি। চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, ‘অভিনেত্রীর মন্তব্য মহাত্মা গান্ধী, ভগৎ সিং এবং দেশের জন্য আত্মবলিদান দেওয়া অগণিত স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রতি ঘৃণার উদ্রেক করছে। আমরা সকলেই জানি যে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মবলিদানের মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি লাভ করেছে ভারত। রানাওয়াতের মন্তব্য কোটি কোটি ভারতবাসীর ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে।’
এমনকী চিঠিতে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনেছেন দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান। তাঁর প্রশ্ন, ‘ইতিহাসের এই সমস্ত অধ্যায়গুলি কি তাহলে ভিক্ষা?’ অভিনেত্রীর আচরণ কোনওভাবেই দেশের সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়ার উপযুক্ত নয় উল্লেখ করেছেন মালিওয়াল। কঙ্গনার বিরুদ্ধে টুইটারেও তিনি সরব হয়েছেন। লিখেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে লেখা চিঠিতে বলেছি, কঙ্গনা রানাওয়াতের মতো যাঁরা আমাদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মবলিদানকে স্বীকৃতি, সম্মান দেন না এবং ভারতের স্বাধীনতাকে ভিক্ষাবৃত্তি বলেন, তাঁদের শিক্ষা দেওয়া দরকার।’