নারদ মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন ফিরহাদ-মদন-শোভনদের
নারদাকাণ্ডে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় (Big Breaking|Narada Case)। আজ আদালতে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন তিনজনেই। ব্যক্তিগত ২০ হাজার টাকা বন্ডে জামিন পেলেন তাঁরা। তবে শর্ত রয়েছে, আগামী শুনানি পর্যন্ত দেশের বাইরে যেতে পারবেন না মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়রা। আগামী শুনানি ২৮ জানুয়ারি ২০২২।
অন্যদিকে ইডির আইনজীবীর আদালতের কাছে আবেদন ছিল এই মামলায় আইপিএস মির্জার অন্তর্বর্তী জামিন (Big Breaking|Narada Case) থাকা সত্বেও আদালতে হাজিরার। কিন্তু তিনি এদিন আদালতে আসেননি। কেন তার অন্তর্বর্তী জামিন বাতিল করা হবে না? সেই প্রশ্ন তোলে গোয়েন্দাসংস্থা ইডি। তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট কেন জারি করা হবে না? সেই প্রশ্নও সওয়াল করা হয় আদালতে।
উল্লেখ্য, নারদাকাণ্ডে (Big Breaking|Narada Case) আজ ফের আদালতে হাজিরা দেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র। জামিন পেলেও আইপিএস মির্জার আজ ফের কোর্টে হাজির হওয়ার কথা। এদিন সকালেই আদালতে হাজির হন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বৈশাখী চট্টোপাধ্যায়। আদালতে পৌঁছন কামারহাটি বিধায়ক মদন মিত্রও।
নারদ মামলায় (Big Breaking|Narada Case) এই চারজন সহ স্বর্গীয় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে Ed চার্জশিট দেয় গত পয়লা সেপ্টেম্বর। সেইসময় মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়। এরপর কোর্ট সমন পাঠায়। সেই অনুসারে আজ হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল চারজনের।
২০১৬ সালে নারদা স্টিং অপারেশন (Big Breaking|Narada Case) ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। রাতারাতি খবর শিরোনামে উঠে এসেছিলেন ম্যাথু স্যামুয়েল। গোপন ক্যামেরায় ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছিল মুকুল রায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুলতান আহমেদ, সৌগত রায়, শুভেন্দু অধিকারী, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, ইকবাল আহমেদ, ফিরহাদ হাকিম, পুলিশ আধিকারিক এমএইচ আহমেদ মির্জাকে।
এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। নারদকাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রাজ্যের ৪ হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর জামিন পান। সম্প্রতি ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে ইডি। বাদ যাননি না আইপিএস অফিসার SMH মির্জা-ও। আজ সেই সূত্রেই আদালতে ছিল শুনানি।