সিবিআই, ইডি-র অধিকর্তাদের মেয়াদ বৃদ্ধির কেন্দ্রীয় অধ্যাদেশকে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে মহুয়া
সিবিআই এবং ইডি-র ডিরেক্টরের মেয়াদ বৃদ্ধির কেন্দ্রীয় অধ্যাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বুধবার মহুয়া এ কথা জানিয়েছেন। তিনি টুইটারে লেখেন, ‘সিবিআই এবং ইডি ডিরেক্টরের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় অধ্যাদেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আমি পিটিশন দাখিল করেছি। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী।’
গত ১৪ নভেম্বর সিবিআই এবং ইডি-র ডিরেক্টরের কার্যকালের মেয়াদ দু’বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু ‘দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট (১৯৪৬)’ এবং ‘সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন অ্যাক্ট (২০০৩)’ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কার্যকালের মেয়াদ ছিল দু’বছর। তাই আইন সংশোধনের জন্য অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) জারি করা হয়।
গত বছর ইডি-র ডিরেক্টর সঞ্জয়কুমার মিশ্রের দু’বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে তা আরও এক বছর বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। এর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় শীর্ষ আদালত রায় দেয়, আর মেয়াদ বাড়ানো যাবে না। তৃণমূল শিবিরের অভিযোগ, তার পরেও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের মেয়াদ বাড়ানোর ব্যবস্থা করে সুপ্রিম কোর্টের রায় অমান্য করেছে মোদী সরকার।
প্রসঙ্গত, সিবিআই এবং ইডি-র প্রধানদের মেয়াদ বাড়ানোর পরের দিন, ১৫ নভেম্বর দেশের গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ (আইবি)-এর প্রধানের কার্যকালের মেয়াদ বাড়ায় কেন্দ্র। বাড়নো হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব এবং প্রতিরক্ষা সচিবের মেয়াদও। নয়া অধ্যাদেশকে হাতিয়ার করেই সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানো হয়। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এড়ানোর উদ্দেশ্যেই সিবিআই, ইডি, আইবি-র মতো সংস্থাগুলির প্রধানদের কার্যকালের মেয়াদ দু’বছরে বাঁধা হয়েছিল। মোদী সরকার রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ফেরানোর উদ্দেশ্যেই মেয়াদ বাড়িয়েছেন বলে অভিযোগ।