চলতি মাসেই বাজারে পা রাখছে রাজ্য সরকারের প্রকল্প ‘বাংলার ডেয়ারি’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতোই এবার দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন শিল্পে নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। বাংলার সৃষ্টিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে চলতি মাসের শেষেই বাজারে পা রাখছে ‘বাংলার ডেয়ারি’। সব ঠিক থাকলে, নভেম্বরের শেষেই পথচলা শুরু করছে মমতার মস্তিষ্কপ্রসূত দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থা।
আগস্টেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যের দুগ্ধশিল্পকে চাঙ্গা করতে মাদার ডেয়ারি , মেট্রো ডেয়ারির পর সম্পূর্ণরূপে রাজ্য সরকারি উদ্যোগে দুগ্ধজাত পণ্যের নতুন সংস্থা চালু হতে চলেছে। যার নাম হবে ‘বাংলার ডেয়ারি’। সদ্য উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে ‘বাংলার ডেয়ারি’র রূপরেখা জানিয়েছিলেন মমতা। সেই মতো রূপ বদলাতে শুরু করেছে মাদার ডেয়ারির ডিপোগুলি। কলকাতার একাধিক ডিপোতে মাদার ডেয়ারির ব্যানার সরিয়ে লাগানো হয়েছে নতুন ‘বাংলার ডেয়ারি’র ব্যানার। আসলে বরাবরই অন্যের উপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের রাজ্যে খাদ্যসামগ্রী উৎপাদনের পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দুগ্ধশিল্পেও তাই নিজস্বতাকেই জোর দিচ্ছেন তিনি। আর তাই বাংলা ডেয়ারির ভাবনা।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ‘বাংলার ডেয়ারি’র ৫১২টি আউটলেট রাজ্যে চালু হবে। কলকাতা ছাড়াও হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাজুড়ে পাওয়া যাবে বাংলার নিজস্ব দুধ। মাদার ডেয়ারির মতোই খোলা দুধ বিক্রি হবে এখন।পরে অবশ্য ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে দুধের পাউচও বাজারে আনা হবে। দুধের পাশাপাশি পনির, পেঁড়া, ঘি, মাখন, ঘোল, দইয়ের সম্ভারও থাকবে বাংলা ডেয়ারির স্টলে। তবে মাদার ডেয়ারির সঙ্গে দামের খুব একটা হেরফের হবে না বলেই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি একটি বেসরকারি সংস্থাকে বাংলা ডেয়ারির প্রচার ও ব্র্যান্ডিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই নতুন সংস্থার হয়ে প্রচার শুরু করেছে।
রাজ্য সরকারের আশা, বাংলার ডেয়ারি পুরোদমে ব্যবসা চালু করলে প্রচুর পরিমাণ কর্মসংস্থানও হবে। সরকারি সূত্রের খবর, বাংলা ডেয়ারির ব্যবসা প্রত্যাশিত গতিতে বাড়তে থাকলে আগামী এক বছরে মাদার ডেয়ারির পুরোপুরি গুঁটিয়ে ফেলা হতে পারে। কারণ, বাংলার ডেয়ারির দুধের জোগানও আসবে আগের বিভিন্ন দুগ্ধ সমবায় থেকেই।