বাঙালির আবেগের কাশফুল থেকেও কর্মসংস্থান! দিশা দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী
শরৎ মানেই কাশফুল।আগস্ট মাস থেকেই উৎসবের বার্তা নিয়ে হাজির হয় এই বুনো ফুল। দুর্গাপুজোর ঠিক আগে আগে বাংলার মাঠেঘাটে ভরে থাকে কাশে। শুধু গ্রামবাংলাতেই নয়, শহরের কংক্রিটের জঙ্গলে আনাচেকানাচে মাথা দোলায় কাশের গুচ্ছ। এবার এই বুনো ফুলই হতে পারে বাংলার নয়া কর্মসংস্থানের রাস্তা। বৃহস্পতিবার হাওড়ার শরৎ সদনে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে দিশা দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বাংলার মাঠেঘাটে কোনও কষ্ট না করেই যে এত কাশফুল হয়, তাকেও কাজে লাগানো যেতে পারে।
এদিন হাওড়া শরৎ সদনে বৈঠকের মাঝে বিডিও-দের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে হঠাৎই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা যায় কাশফুলের কথা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার একটা অন্য আইডিয়া আছে। এই যে আমাদের এখানে এত কাশফুল হয়। একমাসের জন্য ওই ফুল আসে আর ঝরে, উড়ে চলে যায়। তাকে অপচয় না করে বালিশ, বালাপোষ তৈরি করা গেলে কিন্তু, দারুণ হবে।’ এরপরই তিনি আধিকারিকদের বলেন, ব্যাপারটা দেখতে। কোনও কেমিক্যাল ব্যবহার করে কাশফুলকে বালিশ, তোষক তৈরির কাজে লাগানো যায় কিনা সে নিয়ে গবেষণা করারও নির্দেশ দেন।
এদিনের বৈঠক থেকে হাওড়ায় বিপুল বিনিয়োগের বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘হাওড়ায় একাধিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি করা হবে। আগামী দুই বছরে সম্ভাব্য বিনিয়োগ আসতে চলেছে ১০ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা। কর্মসংস্থান হবে ১ লাখ ১৬ হাজার মানুষের। ‘ অর্থাৎ হাওড়াতে শিল্পে বিনিয়োগের ফলে রাজ্যে বিপুল কর্মসংস্থান হতে চলেছে, ইঙ্গিত দেন মুখ্যমন্ত্রী।