চালচলন আমূল সংস্কার না করলে বঙ্গ বিজেপির অবলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী – ফের বিস্ফোরক তথাগত
‘অর্থ এবং নারী চক্র থেকে দলকে টেনে বের করা আবশ্যক’-কিছুদিন আগে টুইটে এমনই মন্তব্য করেছিলেন তথাগত রায়। এরপরেই এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কার্যত তোলপাড় চলতে থাকে। তথাগত রায়ের এই মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গেরুয়া শিবিরের নেতাদের একাংশ। এবার ফের একবার এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন এই BJP নেতা। নতুন করে টুইট করেছেন তিনি।
নতুন এই টুইটে তথাগত রায় লিখেছেন, ‘BJP-র টাকা ও নারী নিয়ে আমার অভিযোগ প্রকাশ্যে নয়, দলের ভিতরে করা উচিত। আমি সবিনয়ে জানাই, সে সময় পেরিয়ে গেছে। BJP আমাকে যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। কিন্তু, নিজেদের চালচলন যদি আমূল সংস্কার না করে তা হলে পশ্চিমবঙ্গে দলের বিলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী।’
অর্থাৎ ফের একবার সরব তথাগত। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই একটি টুইট করে তথাগত রায় লেখেন, ‘৩ থেকে ৭৭ (এখন ৭০) গোছের আবোলতাবোল বুলিতে পার্টি পিছোবে, এগোবে না। অর্থ এবং নারী চক্র থেকে দলকে টেনে বার করা আবশ্যক। দলের রাজ্য সভাপতি এবং বিরোধী দলনেতা – দুজনে নেতৃত্ব দিন। এই চক্রে ফেঁসে থাকলে এখন যে পুরভোটে প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না এরকম অবস্থাই চলবে।’
সামনেই পুরভোট। তথাগত রায়ের এই মন্তব্যে কার্যত অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্য BJP নেতৃত্ব। এই মন্তব্যগুলিকেই দলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে বিরোধীরা, মনে করছিল গেরুয়া শিবিরের একাংশ। সেক্ষেত্রে দলের সংস্কার নিয়ে তথাগত রায়ের প্রকাশ্যে করা এই মন্তব্য মোটেও ভালোভাবে নেয়নি দল, তা এই টুইটে স্পষ্ট।
উল্লেখ্য তথাগত রায় টুইটে আরও লেখেন, ‘প্রতিটি রাজনৈতির দলেই দু’প্রকার মানুষ থাকেন। একপ্রকার, যারা কিছু দিতে এসেছেন। আরেকপ্রকার, যারা কিছু পেতে এসেছেন। দ্বিতীয় প্রকারের মানুষগুলিকে সম্পূর্ণ মুছে দেওয়া হয়নি সম্ভব নয়, কিন্তু, নেতৃত্বের উচিত আসল সত্যটা জেনে রাখা।’ সরাসরি নাম না করেও এই টুইটের মাধ্যমে তথাগত রায় তোপ দেগেছিলেন দিলীপ ঘোষকে, মনে করছিল ওয়াকিবহল মহলের একাংশ।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্য BJP নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব তথাগত রায়। একের পর এক টুইটে তিনি তোপ দেগেছেন BJP নেতৃত্বকে। এতদিন পর্যন্ত তথাগত রায় প্রসঙ্গে চুপ থাকলেও সম্প্রতি BJP-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ঠিক আছে, কতদিন আর লজ্জা পাবেন। দল ছেড়ে দিন। যাঁরা দলের জন্য কিছুই করেননি, যাঁদের দল সবথেকে বেশি দিয়েছে, তাঁরাই সব থেকে বেশি দলের ক্ষতি করেন। আমাদের দুর্ভাগ্য এটা।’