ত্রিপুরায় পুরভোটে প্রচার করতে গিয়ে আবার আক্রান্ত হলেন তৃণমূল প্রার্থীরা
বৃহস্পতিবার সকালে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে বেরিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী বিকাশ সরকার। সস্ত্রীক প্রচারে করছিলেন তিনি। তৃণমূলের অভিযোগ, সেখানেই আচমকা হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতকারীরা। আহত হন প্রার্থী বিকাশ-সহ তাঁর স্ত্রী। আগরতলার তৃণমূল নেতা হিমাদ্রি বণিকের অভিযোগ, ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীকে। আসলে হত্যা করার উদ্দেশ্য নিয়ে আক্রমণ সংগঠিত করা হয়েছিল। কিন্তু উপস্থিত তৃণমূল কর্মীদের তৎপরতায় বাঁচানো গিয়েছে আহত প্রার্থী ও তাঁর স্ত্রীকে। দুপুরে তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে আগরতলা জিবি হাসপাতালে। আগরতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতারা এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তবে ত্রিপুরা বিজেপি-র মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক কিশোর বর্মনকে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি।
ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য আশিসলাল সিংহ বলেন, ‘‘ত্রিপুরা জুড়ে কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। যে সমস্ত ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীরা বিজেপি-র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা মুখে ফেলতে পারেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদের উপর প্রাণঘাতী হামলা করা হচ্ছে।’’
বুধবার রাতে আগরতলা পৌরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী কুহেলি দাসের এর ওপর একই কায়দায় হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। যদিও, কোনওক্রমে বেঁচে গেছেন তিনি। তৃণমূল নেতা অনির্বাণ সরকারের উপরেও প্রাণঘাতী হামলা হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবার সকালে আহত নেতাকে দেখতে হাসপাতালে যান তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব।
আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় ১৩টি পুরসভা ৬ নগর পঞ্চায়েতের ভোট। মোট ৩২৪টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ হবে। এই প্রথমবার ত্রিপুরার পুরভোটে অংশ নিতে চলেছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল। ২৮ নভেম্বর ত্রিপুরার পুরভোটের ফলাফল ঘোষণা। এই হামলার ঘটনার কারণে তৃণমূলের কলকাতার নেতাদের ভোট পর্যন্ত সেখানেই থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে।