মোদীর কৃষি আইন প্রত্যাহারের নেপথ্যে পঞ্জাব-ইউপি নির্বাচনের অঙ্ক?
এর আগে মোট ৯-বার টেলিভিশনের পর্দায় তিনিঁ কেঁদেছেন। এবার দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১ বছর আগে সংসদে বিরোধীদের বুলডোজ করে পাশ করানো ৩টি কৃষি বিল প্রত্যাহার করা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
যে কৃষি আইন বলবৎ করা নিয়ে অনড় ছিল বিজেপির সরকার, সেই অবস্থান থেকে সরে এল তারা। আন্দোলনের পথ ছেড়ে কৃষকদের আবার চাষের ক্ষেতে ফিরতেও আজ আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী। আজ তিনি বলেন, এই মাসে শুরু হতে চলা সংসদ অধিবেশনে এই কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হবে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে তিনটি কৃষি বিলে সংশোধন করে আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকেই দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্তানে বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশেষত, পঞ্জাবে সেই বিক্ষোভের আগুন তীব্র হতে থাকে। রাস্তা অবরোধ, রেল রোকো-আন্দোলনের মাধ্যমে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিবাদ জানায় কৃষক সংগঠনগুলি। তাদের অভিযোগ, নতুন আইনের ফলে লোকসানের মুখে পড়বেন কৃষকেরা।
ফসল নিয়ে তাঁদের দরাদরির ক্ষমতা কমে যাবে, প্রচলিত ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) পাওয়া থেকেও বঞ্চিত হবেন তাঁরা। পাশাপাশি, বেসরকারি এবং বড় সংস্থাগুলির কাছে কৃষিপণ্য মজুত রাখার রাস্তাও খুলে যাবে।
কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লির উপকণ্ঠে অবস্থানকারী কৃষকদের বড় অংশই পঞ্জাব এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তাঁদের শিখ এবং জাঠ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা অনেক। আগামী বছরের গোড়াতেই ওই পঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট। পঞ্জাব নির্বাচনের আগে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে জোট গড়ার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ বড় হতে চলেছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশেই ঘটেছে লখিমপুরের মতো ঘটনা। ভোটের আগে এই ক্ষত গুলোতে মলমের প্রলেপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে এই তিন আইনের প্রত্যাহারের ঘোষণা।